একটি তোষা পাট ও একটি কেনাফের (পাটজাতীয় ফসল) জাত পেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ওই জাত দুটি উদ্ভাবন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই জাত দুটি ছাড় করে জাতীয় বীজ বোর্ড। এখন থেকে কৃষকদের মধে৵ ওই বীজ সরবরাহ করা যাবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত ধানের দুটি জাত ছাড় করেছে সংস্থাটি।
একই সঙ্গে আগামী ২০২৩–২৪ অর্থবছরে দেশে ৭ লাখ ৬৪ হাজার হেক্টর জমিতে পাট, মেছতা ও কেনাফ জাতীয় ফসলের চাষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য বীজ দরকার হবে ৬ হাজার ৩৬৯ মেট্রিক টন। এর মধ্যে বিএডিসি সরবরাহ করবে ১ হাজার ৩০০ টন বীজ, আর প্রায় ৫ হাজার ২০০ টন বীজ ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
২ মার্চ কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৯তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ভারতীয় তোষা পাটের জাত জেআরও-৫২৪ এবং ৫৭৬ মেট্রিক টন মেছতা/কেনাফের (মোট ৫১৭৬ মেট্রিক টন) বীজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গত ২০২২-২৩ উৎপাদন বছরে ৫ হাজার মেট্রিক টন পাটবীজের আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রকৃত আমদানি হয়েছিল ৪ হাজার ১৬৬ টন।
সূত্র :প্রথম আলো