বাংলাদেশের কৃষিপণ্য উৎপাদনের বিপুল অগ্রগতিকে কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য কৃষিপণ্য সংরক্ষণ থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আন্তর্জাতিকভাবে বাজারজাতকরণে গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের ভেতরে যেমন কৃষিপণ্যের বিপুল বাজার গড়ে উঠেছে, তেমনি তা নিয়ে বিশ্ববাজারে যাওয়ারও সুযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে দেশীয় উদ্যোক্তা ও বিদেশি বিনিয়োগকারী দুই পক্ষকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ব্যবসা সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে গতকাল রোববার ‘অ্যাগ্রি বিজনেস’ শীর্ষক অধিবেশনে এই আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশের প্রধান খাদ্য চালসহ আলু, সবজি ও বিভিন্ন কৃষিপণ্যের উৎপাদন কয়েক গুণ বেড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ড্রাগন ফল, স্ট্রবেরি ও গ্রীষ্মকালীন টমেটোর মতো উচ্চ মূল্যের কৃষিপণ্যও উৎপাদিত হচ্ছে। এসব পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে বৈশ্বিক খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকারী কারখানাগুলো বাংলাদেশে কেন এই খাতে বিনিয়োগ করছে না, তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন।
প্রাণ–আরএফএলের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী মূল প্রবন্ধে বলেন, দেশে কৃষির সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে শ্রমশক্তি ও অনুকূল আবহাওয়া। এখানে সাত কোটি টন কৃষিপণ্য উৎপাদন হয়, যার ৮০ শতাংশ হচ্ছে চাল, আলু ও চিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) কান্ট্রি ডিরেক্টর রবার্ট সিম্পসন ও এসিআই অ্যাগ্রি বিজনেসের চেয়ারম্যান এফ এইচ আনসারী।
সূত্র :প্রথম আলো