• বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বেনজীর আহমেদের ক্যাশিয়ার জসীম গ্রেফতার এটা কোন ধরনের প্রতিবেশীসুলভ আচরণ, ভারতের আচরণ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ভারতকে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: খেলাফত মজলিস বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ সীমান্তে যে কোনো অপতৎপরতা রোধে প্রস্তুত বিজিবি ভারতকেই শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার কথা বললেন উপদেষ্টা আসিফ চিন্ময়ের পক্ষে ছিলেন না আইনজীবী, জামিন শুনানি পেছালো দুর্নীতির শীর্ষে পাসপোর্ট-বিআরটিএ-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা : টিআইবি সংস্কার নিয়ে কারও চিন্তা করার দরকার নেই, সংস্কার আমরা করবো বাতিল হলো বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান আইন

বিনিয়োগের বড় খাত হতে পারে সার্কুলার ইকোনমি

24live@21
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩

বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সচেতনতায় চাহিদা বাড়ছে সার্কুলার ইকোনমির। বাংলাদেশের প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে পণ্য প্রবেশে এ-সংক্রান্ত নিয়ম-নীতি আরোপ করা হচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) কাতার থেকে উত্তরণের পর আসতে পারে আরও কঠিন শর্ত। ক্রেতারাও এ বিষয়ে জোর দিচ্ছে। দেশে সার্কুলার ইকোনমির উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে তা খুবই সীমিত পর্যায়ে। এ খাতে বিদেশি বিনিয়োগের বড় সুযোগ রয়েছে।

গতকাল সোমবার ঢাকায় বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে সার্কুলার অর্থনীতিবিষয়ক কর্ম অধিবেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এফবিসিসিআই আয়োজিত এই সম্মেলন গতকাল শেষ হয়েছে।

পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্পদের চক্রাকার ব্যবহারই হচ্ছে সার্কুলার ইকোনমি। এটি এমন একটি অর্থনৈতিক মডেল, যার মাধ্যমে সম্পদের সর্বোত্তম, সাশ্রয়ী ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়। এতে বর্জ্য উৎপাদন কম হয়। উৎপাদিত এই বর্জ্য এবং অন্যান্য সেবাকেও ফের ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হয়।

কর্ম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। বিদেশি উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সার্কুলার ইকোনমিতে আপনারা বিনিয়োগ করুন। এখনই এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের উপযুক্ত সময়।’

তিনি বলেন, অনেকের মধ্যে একটি ভুল ধারণা আছে যে, সার্কুলার ইকোনমির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ লাভজনক নয়। প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে, এ ধরনের বিনিয়োগ লাভজনক না হলে বেক্সিমকো সার্কুলার ইকোনমিতে বিনিয়োগ করত না।

সার্কুলার ইকোনমিতে নিজেদের বড় বিনিয়োগ সংক্রান্ত একটি প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বেক্সিমকোর গ্রুপ ডিরেক্টর ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ নাভেদ হোসেন।

ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বড় ভোক্তা বাজার হিসেবে পরিবেশবান্ধব উৎপাদন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে তাঁদের দায়িত্ব রয়েছে। সার্কুলার ইকোনমি নিয়ে ইইউর একটি কর্মপরিকল্পনা আছে। এর সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের নীতি এবং বিনিয়োগ কাঠামো প্রয়োজন।

এইচঅ্যান্ডএমের ব্যবস্থাপক ফয়সল রাব্বি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে মোট পোশাকের ২৫ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে গোটা আমদানির ক্ষেত্রেই রিসাইকেল্ড পণ্য নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাঁদের। কারণ এ ধরনের পণ্য ছাড়া ইইউর বাজারে প্রবেশ করা যাবে না।
সূত্র :সমকাল


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ