রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিক্ষার্থীদেরকে নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘নিয়মিত পড়াশোনা করবে, নিজেদেরকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। নীতি ও আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হওয়া যাবে না।’ খবর বাসস।
রাজধানীর বিভিন্ন কলেজে পড়ুয়া ৪৫ জন কৃতি ছাত্রছাত্রীকে প্রথমবারের মতো এবার বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তোমাদেরকে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে। যেটাই করো না কেন, ভালো করে করতে হবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ দেশকে ভালবাসতে হবে। এদেশের শিল্প ও সংস্কৃতিকে ভালোবাসতে হবে। দেশের সত্যিকারের ইতিহাস জানতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি হামিদ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন । তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার পরিচয় ও সম্পর্কের বিষয়ে বিভিন্ন খুঁটিনাটি প্রশ্নের উত্তর দেন। আবদুল হামিদ দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘তোমরা মুক্তিযুদ্ধের ওপর ও যুদ্ধের রণকৌশলের ওপর বিভিন্ন রকম বই আছে, সেগুলো পড়বে- তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবে।’ দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামীদের ও বঙ্গবন্ধুর অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তারা কিন্তু আজ আর নেই, অথচ আমরা ফল ভোগ করছি। তাদেরকে অবশ্যই স্মরণ রাখতে হবে।
বঙ্গভবনে সুদীর্ঘ ১০ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে তার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য এক শিক্ষার্থীর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এটা আমার জন্য একটা জেলখানা, কেন না আমার কোন কিছুই স্বাধীনভাবে বলার বা করার কোন সুযোগ নেই।’
কারিগরি শিক্ষা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষাকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে কারিগরি শিক্ষাকে আরও বেশি গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ দেন তিনি। বাংলাদেশের মহাকাশ কেন্দ্র স্থাপনের কোন স্বপ্ন আছে কিনা, এমন প্রশ্ন উঠতেই রাষ্ট্রপতি বলেন, আমেরিকা স্বাধীন হয়েছে ৩০০ বছরের উপরে, আর আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে মাত্র ক’বছর। তিনি বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শূন্য থেকে শুরু করেছি, তোমাদের আরও বেশি স্বপ্ন দেখতে হবে। যেখানে রেখে গেলাম, সেখান থেকে তোমরা শুরু করবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।’
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাহবুবুর রহমান ও নাজিবা জাকিয়া হোসেন রোদেলা বক্তব্য রাখেন। এ সময় রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র :দৈনিক বাংলা