রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কবি, লেখক, নাট্যকার, নির্মাতা, সংগ্রাহক, গবেষক এবং অন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সব সংস্কৃতিকে অনুমতি দেয়া উচিত নয়। তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক উপাদানগুলোকে সংগ্রহ করে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। তবেই বহির্বিশ্বে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফুটে উঠবে।’
শনিবার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি এখন গ্রাম-শহর নির্বিশেষে সবার জীবনকে প্রভাবিত করেছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহের কারণে পৃথিবী এখন গ্রামে পরিণত হয়েছে। ফলে আকাশ সংস্কৃতি এখন বাস্তবতা। বিভিন্ন দেশ ও জাতির সংস্কৃতিতেও এর প্রভাব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সাংস্কৃতিক চিন্তাধারা এবং মানসিকতাও একই গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে সচেতন করা আমাদের দায়িত্ব। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ ভারসাম্যপূর্ণ বিকাশের জন্য সৃজনশীল ও মেধাবী জনশক্তি অপরিহার্য। আলোকিতরাই পারে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের সন্তানদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, বেদনা ও গর্বের সাথে পরিচয় করিয়ে না দেই, তাহলে তারা আত্মসম্মানে সচেতন নাগরিক হিসাবে বেড়ে উঠবে না।’
তিনি প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি তাদের শিকড় খুঁজে বের করার ও গৌরবময় অতীতের কথাও বলার আহ্বান জানান।
সূত্র :নয়া দিগন্ত