• সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সংস্কার নিয়ে কারও চিন্তা করার দরকার নেই, সংস্কার আমরা করবো বাতিল হলো বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান আইন মেডিকেলে ভর্তিতে ‘অটোমেশন’ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেকের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার সাক্ষাৎ ‘চিত্রকর্মগুলো তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ’ জেনেভায় আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, মিশনের শ্রম কাউন্সেলরকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ মা নেই, কারাগারে বাবা : শিশুদের দেখভাল করতে হাইকোর্টের নির্দেশ সংস্কারের গতি ঠিক করবে নির্বাচন কত দ্রুত হবে : এএফপিকে প্রধান উপদেষ্টা সাগর-রুনি হত্যার ৩২০১ পৃষ্ঠার নথি পেয়েছে পিবিআই সম্প্রীতি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত: সেনাপ্রধান

শখের সূর্যমুখীবাগানে লাভের আশা দুই ভাইয়ের

24live@21
আপডেটঃ : রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩

বিনা মূল্যে বীজ পেয়ে অনেকটা শখের বশে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব দুই ভাই মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও মোহাম্মদ দিদার। দুই মাস আগে ৩০ শতাংশ বর্গা জমিতে করা সেই সূর্যমুখীবাগান এখন ফুলে ভরপুর। শখের সেই বাগান থেকেই আড়াই লাখ টাকার বেশি লাভের আশা করছেন দুই ভাই।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও মোহাম্মদ দিদার পুরোদস্তুর কৃষক। কৃষিকাজ করেই তাঁদের সংসার চলে। এত দিন ধান, শর্ষে, শাকসবজি চাষ করে আসছিলেন তাঁরা। কৃষি অধিদপ্তরের প্রণোদনা হিসেবে চার কেজি বীজ পেয়ে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করতে আগ্রহী হন দুজন।

সম্প্রতি মধ্য বেতাগী এলাকায় অবস্থিত দুই কৃষকের সূর্যমুখীবাগান দেখা হলো। বাগানজুড়েই ফুটে রয়েছে বড় বড় ফুল। ফুলে ফুলে উড়ছে মৌমাছি। বাগানের মধ্যেই মধু সংগ্রহের জন্য বসানো হয়েছে দুটি মৌবাক্স।

কৃষক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, যে জমিটি বর্গা নিয়ে চাষ করেছেন সেটি বছরের এ সময়টাতে অনাবাদি পড়ে থাকে। তাই লাভের চিন্তা না করেই শখের বশে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেন তিনি। বিনা মূল্যে বীজ পেলেও চাষাবাদে দুই ভাইয়ের প্রায় ছয় হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মাসখানেকের মধ্যেই ফুলের বীজ পরিপক্ব হবে। তিনি ধারণা করছেন, বীজ থেকে তেল সংগ্রহ করে অন্তত আড়াই লাখ টাকা লাভ হবে দুই ভাইয়ের।

ইব্রাহিমের ছোট ভাই কৃষক মোহাম্মদ দিদার বলেন, বাগানে দুটি মৌবাক্স বসিয়েছেন তাঁরা। সেখান থেকে ১৫ দিন পরপর মধু সংগ্রহ করে বিক্রি করা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এর আগে সূর্যমুখী চাষ না করায় তাঁদের অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু কৃষি কর্মকর্তারা তাঁদের সহযোগিতা করেছেন।

বেতাগী ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লোকন বিশ্বাস বলেন, ‘দুই কৃষক ইব্রাহিম ও দিদারের বাগানে প্রায় ৪ হাজার সূর্যমুখী ফুলের গাছ আছে। সেখান থেকে অন্তত ২ হাজার ৮০০ কেজি বীজ পাওয়া যাবে। বীজ থেকে তেল হবে ৭০০ লিটারের বেশি। সব ধরনের খরচ বাদ দিলেও দুই কৃষকের আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা লাভ হওয়ার কথা।’

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সহিদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলায় ৬০ জন কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে সূর্যমুখী ফুলের বীজ দেওয়া হয়েছে। এসব বীজে প্রায় ৭০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ হয়েছে। তিনি বলেন, সূর্যমুখী ফুলের বীজ রোপণ থেকে শুরু করে পুনরায় বীজ সংগ্রহে ১১০ থেকে ১২০ দিন সময় লাগে। অনেক কম পরিচর্যা করেই সূর্যমুখী চাষে ভালো লাভ পাওয়া যায়। তাই নতুন করে অনেক কৃষক সূর্যমুখী চাষাবাদে উৎসাহিত হচ্ছেন।
সূত্র :প্রথম আলো


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ