রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাক নির্মূলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। সেই লক্ষ্য অর্জনে তরুণ সমাজকে সচেতন হতে হবে।
বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন এবং কিশোর-কিশোরীদের অংশগ্রহণে ধূমপান ও তামাকবিরোধী শপথ অনুষ্ঠিত হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, দাম বাড়িয়ে তামাকের ব্যবহার কমাতে হবে। মাদক-তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এবং গ্যাভি সিএসও স্টিয়ারিং কমিটির ভাইস চেয়ার ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৬৭ শতাংশ মৃত্যু হয় অসংক্রামক রোগে। তামাকজাত দ্রব্য এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ। এসব রোগের মধ্যে শুধুমাত্র হৃদরোগেই মারা যায় ৩০ শতাংশ মানুষ। তাই জনস্বাস্থ্য, বিশেষ করে তরুণ সমাজ ও শিশু-কিশোরদের রক্ষা এবং অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের গুরুত্ব অপরিসীম।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শারিতা মিল্লাত সিআইপির সভাপতিত্বে আরও আলোচনা করেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন এবং ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো-ফ্রি কিডসের আয়োজনে পাঁচ শতাধিক কিশোর-কিশোরী এবং ইয়ুথ লিডার ধূমপান ও তামাকবিরোধী শপথ নেন।
সূত্র: যুগান্তর