সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে সাম্প্রতিক চুক্তিটি পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা, শান্তি, আঞ্চলিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি।
এই আলোচনার ফলাফল নিয়ে পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় চালু করার ক্ষেত্রে চীন, ইরাক এবং ওমানের কার্যকর ভূমিকারও প্রশংসা করেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
দুই দেশের সমঝোতা অনুযায়ী, ইরান ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে পরস্পরের সঙ্গে দেখা করবেন। রাষ্ট্রদূত বিনিময়সহ দূতাবাস পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
ফার্স বার্তা সংস্থার মতে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সাম্প্রতিক আলোচনার ফলাফলের প্রতি পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছেন।
কানয়ানি ইয়েমেন সম্পর্কিত বিবৃতির অংশটুকু এবং ইরানের নামের সঙ্গে তার সংযুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এদিকে ইরানের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরাষ্ট্র সিরিয়ার সঙ্গেও কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে মনোযোগী হয়েছে সৌদি আরব। এর ফলে দীর্ঘদিন প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের মধ্যে আবার বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা সহযোগিতাও শুরু হবে।
মধ্যপ্রাচ্যে সিরিয়া হচ্ছে তেহরানের দীর্ঘদিনের মিত্র এবং সৌদি আরবের এই পদক্ষেপের ফলে দামেস্ক ফের আরব-ব্লকে প্রত্যাবর্তন করতে পারে।
সূত্র:যুগান্তর