মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, তেহরানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার তেমন কোনো প্রভাব ইরানের ওপর পড়েনি এবং যেমনটি আমরা চেয়েছিলাম তেমনটি হয়নি।
তবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী বলেন, ওয়াশিংটন ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর করার উপায় খুঁজছে। তিনি এটাও স্বীকার করেন, নিষেধাজ্ঞা চাপানোর মাধ্যমে আমেরিকার ইচ্ছামত ইরানের নীতি ও আচরণে পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়নি।
গতকাল শুক্রবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইরান গত ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর ও নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমেরিকার অযৌক্তিক ও বেআইনি দাবির কাছে মাথা নত করতে ইরানকে বাধ্য করা যাবে কিন্তু ট্রাম্প চরমভাবে ব্যর্থ হন এবং ইরান নতীস্বীকার করেনি।
মার্কিন ডেমোক্রেট দলের সিনেটর ক্রিস মারফিও স্বীকার করেছেন, পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সাথে ভালো কোনো সমঝোতায় পৌঁছতে পারবেন বলে যে দাবি করেছিলেন তা আসলে ভুল ছিল। পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতিতে গত ৫০ বছরের ইতিহাসে ট্রাম্প চরম বোকামির পরিচয় দিয়েছিলেন উল্লেখ করে ডেমোক্রেট দলের সিনেটর ক্রিস মারফি স্বীকার করেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির কৌশল আমেরিকার জন্য কোনো লাভ হয়নি বরং আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় ইরান আগের চেয়ে আরো শক্তিশালী হয়েছে।
সুত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন