বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই অভিভাবককে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্যকারী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর তাকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মিজানুর রহমানের স্বাক্ষরে সার্কুলারটি জারি করা হয়েছে।
সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩ এর নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনের বদলিসংক্রান্ত সরকারের প্রস্তাবের সঙ্গে আদালত একমত পোষণ করেছেন। প্রস্তাবিত কর্মস্থল হিসাবে তাকে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর অনুলিপি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দেওয়া হয়েছে।’
বগুড়ার পিপি আবদুল মতিন জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাননি। উলেখ্য. ২০২১ সালের জুনে বগুড়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসাবে রুবাইয়া ইয়াসমিন যোগ দেন। তিনি কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা।
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মাকে জজ রুবাইয়া ইয়াসমিন তার পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার খবরে স্কুলটির শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হন। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে স্কুলের সামনের রাস্তা বন্ধ করে তারা কয়েক দফা প্রতিবাদ জানান। বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা যায়।
সূত্র :যুগান্তর