বাংলাদেশের পাঁচ উন্নয়ন প্রকল্পে ২৩ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। প্রকল্পগুলোর প্রক্রিয়াকরণ শেষ হলেও অনুমোদন বিলম্বিত হচ্ছে।
এডিবির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজস্ব আয় বাড়ানো দরকার। এক্ষেত্রে সংস্কার আনতে হবে। বিশেষ করে আয়কর অধ্যাদেশ সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা দেয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ পরিকল্পনামন্ত্রীর দফতরে এডিবির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিংয়ের সাথে বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বৈঠক শেষে পরিকল্পামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘রেল উন্নয়ন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত টিউবওয়েল সংস্কার করে খাবার পানি নিশ্চয়তা দেয়াসহ মোট পাঁচটি প্রকল্প তৈরি আছে। এখন আমার দায়িত্ব হলো এসব প্রকল্প দ্রুত অনুমোদন করিয়ে দেয়া। এরপরই অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) চুক্তির বিষয়গুলো চূড়ান্ত করবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা নিজেরাই সংস্কার করছি। কোনো সময় বন্ধুদের পরামর্শেও সংস্কার করা হয়। সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংস্কারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। কেননা এই প্রতিষ্ঠানটি আমাদের আয়ের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এডিবির কাছে বাজেট সহায়তা আশা করছি দ্রুতই পাওয়া যাবে।’
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে সবসময়ই সহায়তা দিচ্ছি। তবে বাংলাদেশের রাজস্ব আয় বাড়ানো দরকার। এক্ষেত্রে সংস্কার আনতে হবে। বিশেষ করে আয়কর অধ্যাদেশ সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা দেয়া হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে এডিবি প্রতিনিধি বলেন, ‘বাজেট সহায়তার বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। অভ্যরন্তীণ তৎপরতা অব্যাহত আছে। আশা করি দ্রত হবে। পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দ্রুত হলে আমরা চুক্তির কার্যক্রম শুরু করতে পারি।’
সূত্র ; নয়া দিগন্ত