চৈত্রের অর্ধেকের বেশি সময় চলে গেছে। কিন্তু চৈত্রের সেই পরিচিত দাবদাহ দেশের সব এলাকায় তেমন করে অনুভূত হয়নি। এর মধ্যে দুই দিনের জন্য রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। তারপর শুরু হয় বৃষ্টি। তবে আজ রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চার দিন ধরে চলা বৃষ্টি কমে এসেছে। আগামীকাল সোমবার থেকে বৃষ্টি আরও কমবে, সেই সঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা।
গতকাল শনিবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছিল মাদারীপুরে। এর পরিমাণ ছিল ৭৭ মিলিমিটার। সীতাকুন্ডে বৃষ্টি হয়েছিল ৪৩ মিলিমিটার ও রাঙামাটিতে ৪০ মিলিমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তর যে ৪৪টি স্টেশনের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে সেখানে দেখা যায়, দুটি বাদ দিয়ে প্রতিটি স্থানেই কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। আর এ সময় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছিল ১৬ মিলিমিটার।
আজ সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৪টি স্টেশনের মধ্যে ১৬টিতেই কোনো বৃষ্টি হয়নি। সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সীতাকুন্ডে ৪৪ মিলিমিটার আর রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে ১ মিলিমিটার।
আজ সকাল ৯টায় দেওয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু–এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজ প্রথম আলোকে বলেন, ঝড়–বৃষ্টির ধারা কমে এসেছে। বৃষ্টি আরও কমবে, সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও বাড়তে পারে। আজ ও আগামীকাল কোথাও কোথাও বৃষ্টি হলেও এর পরিমাণ হবে সামান্য। বৃষ্টি ঝরানো মেঘ মিয়ানমারের দিকে চলে গেছে। আজ ও আগামীকাল সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টির কিছুটা সম্ভাবনা আছে।
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় কক্সবাজারের টেকনাফে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সূত্র : প্রথম আলো