• মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সংস্কার নিয়ে কারও চিন্তা করার দরকার নেই, সংস্কার আমরা করবো বাতিল হলো বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান আইন মেডিকেলে ভর্তিতে ‘অটোমেশন’ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেকের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার সাক্ষাৎ ‘চিত্রকর্মগুলো তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ’ জেনেভায় আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, মিশনের শ্রম কাউন্সেলরকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ মা নেই, কারাগারে বাবা : শিশুদের দেখভাল করতে হাইকোর্টের নির্দেশ সংস্কারের গতি ঠিক করবে নির্বাচন কত দ্রুত হবে : এএফপিকে প্রধান উপদেষ্টা সাগর-রুনি হত্যার ৩২০১ পৃষ্ঠার নথি পেয়েছে পিবিআই সম্প্রীতি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত: সেনাপ্রধান

চট্টগ্রাম হতে পারে জাপানের বিনিয়োগের স্বর্গভূমি : মেয়রকে রাষ্ট্রদূত

24live@21
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩

জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি বলেছেন, ‘বন্দর ও সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কাস্টমসহ প্রশাসনিক জটিলতা কমানো গেলে জাপানের বিনিয়োগের স্বর্গভূমি হতে পারে চট্টগ্রাম।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটেছে। তাই ব্যবসা ক্ষেত্রের বৈচিত্র আনয়নে জাপানি বিনিয়োগ বাংলাদেশে ভারী শিল্পের বিকাশ ঘটাতে পারে।’

জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি আজ সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।

বৈঠকে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম ঐতিহাসিকভাবেই বন্দর ও বাণিজ্য নগরী হিসেবে বিখ্যাত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের এই বাণিজ্য সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে টানেল নির্মাণ, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন খাতে বিশাল বিনিয়োগ করেছেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রামে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে যা চট্টগ্রামকে বিশ্বের বাণিজ্যিক হাবে পরিণত করবে। এই উন্নয়নে জাপানকে পাশে চাই।

তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে চট্টগ্রামের যে বিপুল বাণিজ্যিক সম্ভাবনা আছে তা কাজে লাগাতে উন্নত মানের যোগাযোগ এবং লজিস্টিকস গড়ে তোলার চেষ্টা করছি আমি। জাইকাসহ জাপানের সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে পারে। জাপানের অর্থনৈতিক সহায়তার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত জ্ঞান আর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমি নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়তে চাই।’

মেয়রকে আশ্বস্ত করে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি বলেন, জাইকার পাশাপাশি প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ মডেলে বিনিয়োগ করে জাপানি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো চট্টগ্রামের অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশে বাণিজ্য প্রসারে জাপান আগ্রহী জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, চট্টগ্রাম ও মিরসরাই ইপিজেডে জাপানের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ রয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রামে জাপানের সবচেয়ে বড় কর্পোরেশনগুলোর একটি নিপ্পন স্টিলসহ বড় ২০টি শিল্পগ্রুপ বাণিজ্যিক কর্মকা- পরিচালনা করছে এবং আরো অনেক প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। পর্যাপ্ত সহযোগিতা পেলে এই বিনিয়োগ অনেক গুণ বাড়তে পারে।

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারাকে বেগবান করতে জাপান সবসময় সহযোগিতা করে আসছে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।

এসময় চট্টগ্রাম সফররত জাপানি সামরিক জাহাজ জেএস উরাগা এবং জেএস আয়াজি’র সাথে আসা প্রতিনিধি দল মেয়রকে বলেন, জাপান পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ বিশ্ব নির্মাণের সংকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সহযোগিতা চায়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ফজলুল কাদের, মো. শাহীনুল ইসলাম, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা চাকমা, জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ।

আরো উপস্থিত ছিলেন জাপানি জাহাজ বহরের নেতৃত্বে থাকা ক্যাপ্টেন নাকাই ইচি, অনাবাসিক ডিফেন্স এটাচি ক্যাপ্টেন তাচিবানা হিরোশি, কমান্ডার মাতসুনাগা আকিহিতো, তাগুচি তাকুমি, প্রথম সচিব ইগাই ইয়ুকা, দ্বিতীয় সচিব কোবায়াশি য়ুশিহাকি।

সূত্র : বাসস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ