তীব্র গরমে জীবন অতিষ্ঠ সবার। আবহাওয়া অধিদপ্তর এর তথ্য মতে খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের সব জেলায় তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে।
অত্যধিক তাপমাত্রায় মাছ চাষের পুকুর ও অন্যান্য জলাশয়ের পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন মাত্রা কমে এর সংকট তৈরি হচ্ছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য। অধিক পচন সৃষ্টি হওয়ায় দূষিত গ্যাসের প্রাদুর্ভাবসহ থার্মাল শক বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে পানির নানাবিধ ভৌত ও রাসায়নিক গুণাবলী পরিবর্তিত হয়ে মাছের মড়কের কারণ হতে পারে।
তীব্র গরমে মাছের মড়ক রোধে মৎস্য খামারিদের জন্য কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর-
১. দিনের বেলায় জাল/হররা টেনে পুকুর/জলাশয়ের তলদেশের দূষিত গ্যাস বের করে দেওয়া।
২. তাপদাহ চলাকালীন প্রতি ১৫ দিনে একবার করে ভোরে প্রতি শতাংশে ১০০-২০০ গ্রাম চুন, বিকালে ১০০-২০০ গ্রাম লবণ প্রয়োগ করা।
৩. তাপদাহ চলাকালীন প্রতিদিন প্রতি শতাংশে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় উপাদান (আটা/ চাল/ ভূট্টার কুড়া ইত্যাদি) ৫০-১০০ গ্রাম করে প্রয়োগ করা।
৪. তাপদাহ চলাকালীন পুকুর/জলাশয়ে ইউরিয়া অথবা ইউরিয়া জাতীয় সার প্রয়োগ বন্ধ রাখা।
৫. প্রয়োজনে মাছের জন্য দৈনিক খাদ্য প্রয়োগের পরিমাণ অর্ধেক কিংবা অবস্থাভেদে আনুপাতিক হারে কমানো।
৬. সম্ভব হলে পুকুর/জলাশয়ে চাষকৃত মাছের মজুদ ঘনত্ব কমানো ও পচনশীল দ্রব্য থাকলে অপসারণ করা।
৭. সম্ভব হলে দুপুরের পর পুকুর জলাশয়ে ডীপ টিউবওয়েল/সাব মারসিবল পাম্প/অন্যান্য উৎস থেকে নিরাপদ ঠান্ডা পানি বর্ণাকারে সরবরাহের মাধ্যমে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা ও পানির প্রয়োজনীয় গভীরতা বৃদ্ধি করা।
৮. অক্সিজেনের ঘাটতি হলে প্রতি শতকে প্রতি ফুট পানির গভীরতায় ১টি করে অক্সিজেন ট্যাবলেট প্রয়োগ করা।
৯. চাষকৃত পুকুর/জলাশয়ে দুপুরের পর অন্তত ১ ঘণ্টা এবং শেষ রাতে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা করে প্রতিদিন এরেটর চালানো।
১০. জলায়তন অনুপাতে পুকুর/জলাশয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশে কচুরিপানা দিয়ে ছায়াযুক্ত স্থান তৈরি করা যেতে পারে (পুকুর/ জলাশয়ে যাতে ছড়িয়ে না যায় সে ব্যবস্থা গ্রহণ সাপেক্ষে)।
১১. পুকুরের ভৌত ও রাসায়নিক গুণাগুণ নিয়মিত পরীক্ষাপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং
১২. জেলা/উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তর হতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণ।
সূত্র : জাগোনিউজ২৪.কম