• মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সংস্কার নিয়ে কারও চিন্তা করার দরকার নেই, সংস্কার আমরা করবো বাতিল হলো বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান আইন মেডিকেলে ভর্তিতে ‘অটোমেশন’ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেকের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার সাক্ষাৎ ‘চিত্রকর্মগুলো তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ’ জেনেভায় আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, মিশনের শ্রম কাউন্সেলরকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ মা নেই, কারাগারে বাবা : শিশুদের দেখভাল করতে হাইকোর্টের নির্দেশ সংস্কারের গতি ঠিক করবে নির্বাচন কত দ্রুত হবে : এএফপিকে প্রধান উপদেষ্টা সাগর-রুনি হত্যার ৩২০১ পৃষ্ঠার নথি পেয়েছে পিবিআই সম্প্রীতি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত: সেনাপ্রধান

সরকার ১০৪ টাকা ঠিক করলেও চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়

24live@21
আপডেটঃ : শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩

সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ১০৪ টাকা; কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকার আশপাশে। অর্থাৎ সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ২৬ টাকা বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এই দামে চিনি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গতকাল ঢাকা মহানগরে চিনি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। অর্থাৎ টিসিবির মূল্যতালিকার চেয়ে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে কারওয়ান বাজারে চিনি বিক্রির চিত্র দেখা গেছে। টিসিবির তথ্য বলছে, গত সপ্তাহেও (১৮ এপ্রিল) ঢাকা মহানগরে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। এই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে।

শুক্রবার কারওয়ান বাজারের ছয়জন খুচরা বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁদের ভাষ্য, টিসিবির মূল্য তালিকায় খুচরা বাজারে চিনির যে দামের কথা বলা হচ্ছে, ওই দামে পাইকারি বাজার থেকেও চিনি কেনা যাচ্ছে না। এমনকি চিনির পাইকারি দরও টিসিবির খুচরা মূল্যতালিকার সর্বোচ্চ দামের (১২৫ টাকা) চেয়ে অন্তত ১ টাকা বেশি।

ছয়জনের মধ্যে চারজন বিক্রেতা জানান, তাঁরা এখন চিনি বিক্রি করছেন না। দুজন ১৩০ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, ৬ এপ্রিল সরকার চিনির দাম ৩ টাকা কমিয়ে ১০৪ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়ার পরই চিনি সরবরাহ সীমিত করে প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে চিনির দাম না কমে উল্টো বেড়েছে। বর্তমানে পাইকারিতে ১২৬ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে চিনি কেনার সময় কোনো রসিদও দিচ্ছেন না পাইকারি বিক্রেতারা। এমন পরিস্থিতিতে ১৩০ টাকা দরে চিনি বিক্রি করলে ক্রেতা নানা প্রশ্ন করেন।

কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা সোনালি জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. দুলাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, চিনির বাজার ঈদের আগে থেকেই অস্থির। সরকার যখনই দাম কমিয়ে দিল, তখনই চিনি সরবরাহ কমে গেল। খুচরা বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রি করলে অনেক ক্রেতা সেটি মেনে নেন না। কেউ কেউ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরেও অভিযোগ দেন, তখন উল্টো বিপাকে পড়তে হয়। এমন পরিস্থিতিতে তিনি চিনি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।

এ কে এম সুলতান মাহমুদ নামের একজন ক্রেতা প্রথম আলোকে বলেন, দাম বেশি হওয়ার কারণে তিনি চিনি কেনেননি। ঈদের আগে বাধ্য হয়ে বেশি দামে চিনি কিনেছিলেন। এখন তিনি কিছুদিন অপেক্ষা করে দেখতে চান চিনির দাম কমে কি না।

এদিন মিরপুরের শেওড়াপাড়ার অলি মিয়ার টেক এলাকার আবদুল কাদেরের দোকান এবং আশপাশের দোকানগুলোতেও প্রতি কেজি চিনি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।

পাইকারি দরই ১২৬ টাকা

গতকাল কারওয়ান বাজারের তিনটি পাইকারি চিনি বিক্রির প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জানা যায়, ৫০ কেজির এক বস্তা চিনি ৬ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি করছে তারা। অর্থাৎ প্রতি কেজি চিনির পাইকারি দর ১২৬ টাকা।

ইব্রাহীম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. ইব্রাহীম প্রথম আলোকে বলেন, চিনির সরবরাহ অনেক কমে গেছে। দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। ঈদের আগে ৫০ কেজি চিনি ৫ হাজার ৯০০ থেকে ৫ হাজার ৯৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন ৫০ কেজির এক বস্তা চিনিতে দাম বেড়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। কারওয়ান বাজারের আরেক পাইকারি বিক্রেতা সোনালি ট্রেডার্সের আবুল কাশেম জানান, চিনির বাজার অস্থির হওয়ার কারণে তিনি এখন চিনি বিক্রি করছেন না।

মিলমালিকেরা সরকার নির্ধারিত চিনির দাম মানছেন না বলে জানান পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের ব্যবসায়ী গোলাম মাওলা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে মিলমালিকেরা কখনোই চিনি বিক্রি করেননি। তাঁরা ১২৫ টাকা কেজি দরে চিনি বিক্রি করছেন। কিন্তু নথিতে সরকার নির্ধারিত দাম দেখাচ্ছেন।

সুত্র : প্রথম আলো


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ