বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানের ‘জুবিলি’ সিরিজে অভিনয় করে ভারতজুড়ে পরিচিতি পেয়েছেন ওয়ামিকা গাব্বি। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাস নিয়ে তৈরি এ সিরিজে তাঁর চরিত্রের নাম নিলুফার। প্রেক্ষাপট চল্লিশের দশকের শেষের দিকের বোম্বে শহর। একদিকে দেশভাগে জর্জরিত মানুষ। অন্যদিকে এসব মানুষের স্বপ্নপূরণের কান্ডারি হয়ে রুপালি পর্দার আবির্ভাব। সময়ের সঙ্গে হিন্দি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি কীভাবে বড় হয়ে উঠেছে, সে আখ্যানই তুলে ধরা হয়েছে সিরিজে। নিলুফার চরিত্রটি প্রান্তিক পর্যায় থেকে উঠে আসা। এক প্রযোজকের রক্ষিতা থেকে বলিউডের নায়িকা হয়ে ওঠে নিলুফার। এ চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে ওয়ামিকা গাব্বি এখন আলোচনার শীর্ষে।
চণ্ডীগড়ে জন্ম নেওয়া ওয়ামিকা ছোটবেলা থেকেই সিনেমায় অভিনয়ের স্বপ্ন দেখতেন। নাচ শিখতেন। আর যেখানেই অডিশনের খবর পেতেন, ছুটে যেতেন। একটি নাচের প্রতিযোগিতায় গিয়ে প্রথম সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পান। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় ‘জব উই মেট’ সিনেমায় কারিনা কাপুরের বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন। হিন্দি সিনেমা দেখে বড় হওয়া ওয়ামিকা চেয়েছিলেন বলিউডে নিয়মিত হতে। ‘লাভ আজ কাল’, ‘মাসুম’, ‘বিট্টো বস’, ‘সিক্সটিন’ সিনেমাগুলোতে কিছু ছোট চরিত্রে কাজ করতে করতে একটা সময় বুঝেছিলেন, বলিউডে প্রতিষ্ঠিত হওয়া অত সহজ হবে না। ওয়ামিকা বলেন, ‘বুঝেছিলাম, চাইলেই বলিউডে সুযোগ পাওয়া যায় না। কাজটা আগে ভালো করে শিখতে হয়।
ওয়ামিকা তাই পাঞ্জাবি ইন্ডাস্ট্রিতে সুযোগ খুঁজতে থাকেন। ‘তু মেরা ২২ মে তেরা ২২’ সিনেমা দিয়ে পাঞ্জাবে ব্যাপক পরিচিতি পান। এরপর পাঞ্জাবি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির অনেক সিনেমায় দেখা গেছে ওয়ামিকাকে। তত দিন পর্যন্ত শুধু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেই পরিচিত ছিলেন ওয়ামিকা। ডিজনি হটস্টারের ‘গ্রহণ’ সিরিজের কল্যাণে সর্বভারতীয় দর্শক চিনতে শুরু করেন তাঁকে। এরপর ‘মাই: আ মাদারস রেজ’, ‘মডার্ন লাভ: মুম্বাই’ সিরিজ দুটিতেও প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। সর্বশেষ ‘জুবিলি’ সিরিজ তাঁর ক্যারিয়ারে যোগ করেছে নতুন পালক।
ক্যারিয়ার নিয়ে চাপে থাকতে চান না ওয়ামিকা। জীবনটাকে উপভোগ করতে চান। ওয়ামিকা বলেন, ‘জীবনে যেকোনো কিছু ঘটতেই পারে। আমি তাই নিজের মতো বাঁচায় বিশ্বাসী। চেষ্টা করি ভালো মানুষের সঙ্গে সময় কাটাতে। আগে অনেক পরিকল্পনা করতাম। এখন জীবনকে উপভোগ করার কথাই ভাবি।
সূত্র : আজকের পত্রিকা