বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের আরও কিছু নতুন পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এসব পরীক্ষার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে চিকিৎসকেরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপর জানা যাবে খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে কবে বাসায় ফিরবেন।
নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। গত শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা ভর্তি করার পরামর্শ দেন। এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর দুই দিনে তাঁর স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়।
বিএনপি নেত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়া চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে আছেন। তাঁর হৃদ্যন্ত্র, লিভার (যকৃৎ) ও কিডনির বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা খালেদা জিয়ার আরও কিছু পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরীক্ষাগুলো করানো হচ্ছে।
জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়া কবে হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় যেতে পারবেন, সে ব্যাপারে চিকিৎসকেরা সর্বশেষ সব পরীক্ষার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন।
গত বছরের জুনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তাঁর হৃদ্যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। বাকি দুটি ব্লক তখন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না। এ ছাড়া তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে সে সময় বাকি দুটি ব্লকে রিং পরানো হয়নি। এখন তাঁর হৃদ্যন্ত্রের এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়েছে।
৭৮ বছর বয়স্ক খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, যকৃৎ, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাঁকে নির্বাহী আদেশে ‘সাময়িক মুক্তি’ দেয় সরকার। এর পর থেকে তাঁর দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে।
সূত্র :প্রথম আলো