আল্লাহ তাআলা সর্বশেষ যে দুই ব্যক্তির হিসাব নেবেন, তাদের একজন বললেন- ‘আমার আশা, আপনি আমাকে জান্নাত দেবেন’। এ কথা শুনে মহান আল্লাহ তাআলা কী নির্দেশ দেবেন?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা বান্দাদের হিসাব-নিকাশ শেষ করবেন। শুধু দু-জন বাকি থাকবে। তাদের জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ হবে। (নির্দেশ মেনে জাহান্নামে) যাওয়ার সময় একজন শুধু ফিরে ফিরে চাইবে।
আল্লাহ বলবেন, ‘তাকে ফিরিয়ে আনো তো।’
ফেরেশতারা তাকে ফিরিয়ে আনলে আল্লাহ তাআলা (তাকে) বলবেন- ‘কী হলো তোমার, ফিরে ফিরে চাও কেন?
সে বলবে, ‘আমার আশা, আপনি আমাকে জান্নাত দেবেন।’
এরপর আল্লাহ তাআলা বলবেন, ‘যাও, তোমাকে জান্নাত দিয়ে দিলাম।’
লোকটি জান্নাতে গিয়ে বলবে, ‘আমার প্রভু আমাকে এত দিয়েছেন যে, সারা জান্নাতবাসীকে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ালেও সামান্য কমবে না।
বর্ণনাকারী বলেন, ‘এ ঘটনা বলার সময় নবিজির বদন আনন্দে ঝলমল করছিল।’
হে মুমিন! জান্নাতে যেতে কিছু আমল করা জরুরি। যেসব দোয়ায় বান্দার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। তাহলো-
رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا ، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا ، وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا
উচ্চারণ : ‘রাদিতু বিল্লাহি রব্বাউঁ ওয়া বিল ইসলামী দ্বিনাউঁ ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যাঁও ওয়া রাসুলা’।
অর্থ : আমি আল্লাহকে রব, ইসলামকে দ্বিন এবং মুহাম্মদ (সা.)-কে রাসুল হিসেবে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিয়েছি।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুললুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দোয়াটি পড়বে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।’ হাদিসে আছে, এই কথাটি শোনে আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু আনন্দে বিস্মিত হয়ে যান। (আবু দাউদ ১৫২৯)
অন্য এক হাদিসে হজরত মুনাইজির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি- যে সকালে ‘রাদিতু বিল্লাহি রব্বাউঁ ওয়া বিল ইসলামী দ্বিনাউঁ ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যাঁও ওয়া রাসুলা’ পড়বে; আমি তার হাত ধরে তাকে জান্নাতে পৌঁছে দেবো। (মুজামুল কবির ৩৫৫/২০; সিলসিলাতুস সহিহা ২৬৮৬)
অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, যে ব্যক্তি সকাল-বিকেল তিনবার এই দোয়া পড়বে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির নেকি বৃদ্ধির মাধ্যমে তাকে সন্তুষ্ট করবেন।’ (তিরমিজি ২/১৭৬)
সূত্র : জাগোনিউজ২৪.কম