বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে তৃতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) আজ এখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মহাসচিব নিজ নিজ পক্ষে এতে নেতৃত্ব দেন। আজ এখানে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
বৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, হালাল বাণিজ্য, পর্যটন ও সংস্কৃতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, আইসিটি এবং টেলিযোগাযোগ ও নৌপরিবহন খাতে সহযোগিতাসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
তারা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়েও বৈঠকে মতবিনিময় করেছেন।
উভয় পক্ষই বিদ্যমান সম্পৃক্তায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা ও কৌশলগুলোর বিষয়ে ফলোআপের মাধ্যমে তা আরও বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছে।
এফওসি দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে সম্মত হয়েছে, যাতে দুই আঞ্চলিক দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও উপাদান যুক্ত করা যায়।
মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্র সচিব পারস্পরিক সুবিধার জন্য মালয়েশিয়া থেকে বিশেষ করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে অধিকতর এফডিআই প্রবাহের জন্য উৎসাহিত করেন।
উভয় পক্ষ উচ্চ পর্যায়ের নিয়মিত সফর বিনিময়ের মাধ্যমে কাজের গতি বজায় রাখার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সফরকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাস্তবায়িত করতে সম্মত হয়েছে।
উভয় পক্ষ অভিবাসন খরচ কমিয়ে এবং মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের জন্য অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করে বাংলাদেশী প্রবাসী কর্মীদের সুশৃঙ্খল, নিরাপদ এবং নৈতিক অভিবাসন কার্যকর করার জন্য ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা নিয়ে কাজ করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
মালয়েশিয়া তাদের অর্থনীতিতে বাংলাদেশী শ্রমিকদের মূল্যবান ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মালয়েশিয়াকে দ্বিপাক্ষিকভাবে এবং আসিয়ান কাঠামোর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমারে তাদের নিজ ভূখ-ে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানান।
তিনি আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশকে দ্রুত অন্তর্ভুক্ত করারও দাবি জানান।
উভয় পক্ষই সহযোগিতাকে আরও জোরদার করতে সকল ক্ষেত্রে তাদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
পরবর্তী এফওসি পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র : বাসস