প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাতের শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য ঢাকা ও তাসখন্দের মধ্যে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পুনরায় চালুর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
সফররত উজবেকিস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাখরোম আলয়েভের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের পণ্য বিশেষ করে টেক্সটাইল রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া, উজবেকিস্তানের প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তান বাংলাদেশের জন্য একটি বড় বাজার হতে পারে।’
রাজধানীর গুলশান এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা আইটি, ফার্মাসিউটিক্যাল, পর্যটন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছেন।
সালমান বলেন, সরকার সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) তৈরি করছে যেখানে উজবেক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে পারে।
তিনি জানান, বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়াসহ ১৫২টি দেশে ওষুধ পাঠাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং আইটি-এর মতো ব্যবসায়িক অঙ্গণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
বৈঠকে আলয়েভ বলেন, শীঘ্রই যাতে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু হয় সে বিষয়ে তিনি পদক্ষেপ নেবেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তান পর্যটন, বিশেষ করে ধর্মীয় পর্যটনের ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
সালমান এ সময় আলয়েভকে উভয় দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার আশ্বাস দেন। তিনি জানান, উজবেক জনগণ কক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত, সিলেটে চা বাগান এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়সহ বাংলাদেশের অনেক আকর্ষণীয় স্থান দেখতে বাংলাদেশে আসতে পারে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ উজবেকিস্তানে ২৬.৩৩ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি এবং সে দেশ থেকে ৮.৮০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।
সুত্র : বাসস