• বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ভারতকে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: খেলাফত মজলিস বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ সীমান্তে যে কোনো অপতৎপরতা রোধে প্রস্তুত বিজিবি ভারতকেই শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার কথা বললেন উপদেষ্টা আসিফ চিন্ময়ের পক্ষে ছিলেন না আইনজীবী, জামিন শুনানি পেছালো দুর্নীতির শীর্ষে পাসপোর্ট-বিআরটিএ-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা : টিআইবি সংস্কার নিয়ে কারও চিন্তা করার দরকার নেই, সংস্কার আমরা করবো বাতিল হলো বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান আইন মেডিকেলে ভর্তিতে ‘অটোমেশন’ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেকের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

কুমিল্লায় মাল্টা চাষে বেকারত্ব জয় শাহাজাহানের

24live@21
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩

দুই যুগেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে গ্রাজুয়েশন করেছেন শাহাজাহান। বেকারত্ব ঘোচাতে নানা পদক্ষেপ নিলেও আসেনি সফলতা। অবশেষে মাল্টা চাষে বেকারত্বকে জয় করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে পেয়েছেন সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন ও সাহস। তার সাফল্য দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন মাল্টা চাষে। শাহাজাহানের বাড়ি কুমিল্লার লাকসামে। সেখানে এক একর জমিতে তিনি গড়ে তুলেছেন মাল্টা বাগান।

সম্প্রতি শরীফের মাল্টা বাগান ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি গাছে পাতার ফাঁকে-ফাঁকে ঝুলছে নজরকাড়া রসালো মাল্টা। প্রতিদিন দূরের ও কাছের অনেকে আসেন শাহাজানের মাল্টা বাগানে। এদের মধ্যে কেউ দর্শনার্থী, কেউ মাল্টা ব্যবসায়ী আবার কেউ মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে আসেন পরামর্শ নিতে।

শাহাজাহান বাসসকে বলেন, বাড়ির পাশে মাল্টা চাষের জন্যে উপযোগী উঁচু এক একর জমিতে বারী-জাতের ২৫০টি মাল্টার চারা রোপণ করি তিন বছর আগে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও সঠিক পরিচর্যায় স্বল্প সময়ের ব্যবধানে গাছ বড় হয়ে মাল্টা ধরতে শুরু করে। সবুজ রঙের এ মাল্টা তুলনামূলক অন্য জাতের মাল্টার চেয়ে রসালো ও স্বাদে বেশ মিষ্টি। ফলে বাজারে এ মাল্টার চাহিদাও বেশি। লাকসামে বাণিজ্যিকভাবে বড় পরিসরে আমিই প্রথম মাল্টা চাষ শুরু করি। পর্যাপ্ত ফলন ও আশানুরূপ বাজার দর পাওয়ায় একদিকে যেমন বেকারত্ব থেকে মুক্তি মিলেছে অন্যদিকে সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা। পাশাপাশি আরো এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মাল্টা চাষের পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে লাকসাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফুজ্জামান বাসসকে বলেন, মাল্টা চারা রোপণের দুই থেকে তিন বছর মধ্যেই ফল পাওয়া শুরু হয়। এ এলাকার মাটি ও আবহাওয়া মাল্টা চাষের জন্য যথেষ্ট উপযোগী। শুরু থেকেই মাল্টা চাষি শাহজাহানকে পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে কৃষিবিভাগ। তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে উপজেলায় আরো অনেকে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ শুরু করেছেন। তাদেরও প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

সূত্র : বাসস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ