কানাডার পূর্বাঞ্চলীয় নোভা স্কটিয়া প্রদেশের ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া শত শত দাবানলের মধ্যে ভয়াবহ একটি দাবানল হ্যালিফ্যাক্স নগরীকে চরম হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। সোমবার কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপি’র।
খবরে বলা হয়, রোববার রাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর থেকে সেখানে দাবানলের তীব্রতা আর তেমন বৃদ্ধি পায়নি। তবে নগরীর উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত বরাবর আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক নোটিশে শহরতলির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার কথা বলা হয়।
টেলিভিশনের ভিডিও ফুটেজে দাবানলের ধোঁয়ার কুন্ডলি এবং অনেক ঘরবাড়ি ও গাড়ি পুড়ে যেতে দেখা যায়। তবে এতে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
হ্যালিফ্যাক্সের মেয়র মাইক স্যাভেজ বলেন, এ নগরীর ৪ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দা একটি ‘নজিরবিহীন’ পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে।
স্যাভেজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা গতকাল থেকে নতুন কোন এলাকার লোকজনকে আর সরিয়ে নেইনি। এক্ষেত্রে আমরা আশা করছি যে সম্ভবত সেখানের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কিন্তু তারপরও এটি একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি।’
যে বাতাস আগুনের শিখাকে তীব্রভাবে চালিত করছিল সে বাতাস সোমবার দিক পরিবর্তন করায় হ্যালিফ্যাক্স নগরীতে দাবানল ছড়িয়ে পড়া স্তিমিত হয়ে যায়।
এদিকে কর্মকর্তারা বলছেন যে নোভা স্কটিয়ার দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এ সপ্তাহে সেখানে বৃষ্টিপাতের কোন পূর্বাভাস নেই।
সোমবার কানাডার ১৩টি প্রদেশের মধ্যে আটটিতেই দাবানল ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
সূত্র : বাসস