সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক উপমন্ত্রী ড. আব্দুল ফাত্তাহ সুলাইমান আজ আশ্বস্ত করেছেন যে তার সরকার ঢাকার অনুরোধ অনুযায়ী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে আরও ১০টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটের স্লট অনুমোদন করার কথা বিবেচনা করবে।
আজ এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বুধবার মক্কায় সৌদি উপমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে এ আশ্বাস দেন।
বৈঠকে সৌদি উপমন্ত্রী বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইখলাস ও শৃঙ্খলার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তার সরকার হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। কিছু হজ এজেন্সি বাংলাদেশী হজযাত্রীদের জন্য নির্ধারিত সময়ের আগে তাদের বাসস্থান ও ভিসার ব্যবস্থা করতে না পারায় বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিচালনা সংস্থা বেশ কয়েকটি হজ ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হওয়ার প্রেক্ষাপটে ঢাকা বিমানকে আরও ১০টি হজ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার জন্য সৌদি আরবের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিল।
যোগাযোগ করা হলে, বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. শফিউল আজিম বাসস জানান, তারা সৌদি আরবের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আরও ১০টি হজ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘সমস্ত হজযাত্রীদের সময় মতো নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের কিছু ব্যাকআপ পরিকল্পনাও রয়েছে।’ কিছু হজ এজেন্সির আন্তরিকতার অভাব রয়েছে অভিযোগ করে বিমান প্রধান বলেন, ফলে বিমানকে টাকা হারানোর পাশাপাশি যথাসময়ে সব হজযাত্রী বহনের চাপে পড়তে হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই দায়ী সংস্থার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিষয়টি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি।’
গত দুই সপ্তাহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৬ হাজারের বেশি হজযাত্রীকে পেছনে ফেলে গেছে এবং ছয়টি হজ ফ্লাইট বাতিল করেছে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় রোববার ৯০ হজ এজেন্সিকে পরিস্থিতির জন্য দায়ী করে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১২২,২২১ জন হজ পালন করতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে প্রায় ৬২ হাজার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকিরা সৌদি এয়ারলাইন্স বা ফ্লাইনাসে করে যাবেন।
সূত্র :বাসস