জলবায়ু-সহনশীল কৃষি প্রবৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা ও সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নে অর্থায়নের লক্ষে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংক আজ মোট ৮৫৮ মিলিয়ন ডলারের দু’টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
মোট অর্থের মধ্যে-বিশ্বব্যাংক এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স (পার্টনার) কর্মসূচিতে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পের জন্য আরও ৩৫৮ মিলিয়ন ডলার প্রদান করবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান ও বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (আইডিএ) পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরের মেয়াদে এই ঋণ দিচ্ছে। এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (আইএফএডি) এই পার্টনার প্রকল্পটিতে ৪৩ মিলিয়ন ডলার সহ-অর্থায়ন করবে।
এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স (পার্টনার) কর্মসূচিতে এই ৫০০ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে শস্য বৈচিত্র, খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থাপনায় জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা প্রচারের মাধ্যমে কৃষি খাতের রূপান্তর ঘটাতে সহায়তা করবে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি উপকরণ ব্যবহারে অধিকতর দক্ষতা, ভাল কৃষি অনুশীলন এবং চাপ সহনশীল ও পুষ্টিসমৃদ্ধ জাতগুলোর প্রচারের মাধ্যমে টেকসই ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনে সহায়তা করবে।
এটি ডিজিটাল কৃষি পরিষেবা সরঞ্জামগুলো সম্প্রসারণ, উন্নত খাদ্য সুরক্ষা প্রক্রিয়া এবং মহিলা ও যুব উদ্যোক্তা বৃদ্ধির মাধ্যমে উদ্যোক্তা ও পরিষেবাগুলো সম্প্রসারণে সহায়তা করবে।
এটি উন্নত তথ্য ব্যবস্থাপনা, গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান ও নীতির আধুনিকায়নে সহায়তা করবে।
ইআরডি সচিব শরিফা খান বলেন, ‘এই দুটি প্রকল্প ২০৩১ সালের মধ্যে দেশের উচ্চ-মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনে অবদান রাখবে।’
তিনি আরে বলেন, ‘আমাদের জাতীয় কৃষি নীতি পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং নতুন সড়ক পরিবহন আইনে সড়ক নিরাপত্তার উপর যথেষ্ট মনোযোগ দেয়া হয়েছে।’
শরিফা আরো বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কৃষকদের ক্ষমতায়ন ও উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার উন্নতি ও দুর্ঘটনাজনিত মানুষের জীবনের মর্মান্তিক ক্ষতি হ্রাসে এই দুটি প্রকল্প টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
সূত্র : বাসস