বাজেটে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের মাধ্যমে সবধরনের তামাকপণ্যের দাম কার্যকরভাবে বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদসহ তামাকবিরোধী নেতৃবৃন্দ।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সভাকক্ষে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা আয়োজিত তামাক কর বিষয়ক বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে নিত্যপণ্যের তুলনায় আরেক দফা সস্তা হবে তামাকপণ্য। তামাক ব্যবহারজনিত অসুস্থতা ও মৃত্যু বাড়বে। তামাক কোম্পানি লাভবান হবে এবং সরকার অতিরিক্ত রাজস্ব আয়ের সুযোগ হাতছাড়া করবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করহার না বাড়িয়ে কেবল খুচরামূল্য বাড়ানোর কারণে তামাক কোম্পানিগুলো লাভবান হবে এবং সরকার অতিরিক্ত রাজস্ব আয়ের সুযোগ হাতছাড়া করবে। তামাক কর ও মূল্য প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৪ লক্ষ ৯২ হাজার তরুণ জনগোষ্ঠির অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে এবং ৯,৬০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং জাতীয় তামাক বিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাজেটে আমাদের প্রস্তাবসমূহ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এর রিসার্চ ডিরেক্টর ড. মাহফুজ কবীর বলেন, নিম্নস্তরের সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যে আড ভ্যালোরেম এর পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, তামাকপণ্যেও একই কর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে অর্থনীতি ও জনস্বাস্থ্য উভয়ই উপকৃত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো অংশ নেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এর রিসার্চ ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত, আত্মা’র কনভেনর মতুর্জা হায়দার লিটন, সিটিএফকে বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের প্রমুখ।
আত্মা’র কো-কনভেনর নাদিরা কিরণের সঞ্চালনায় প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণ এবং দাবি তুলে ধরেন প্রজ্ঞা’র তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক প্রকল্প প্রধান হাসান শাহরিয়ার।
সূত্র : বাসস