থাইল্যান্ডের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রাউত চান-ওচা আজ মঙ্গলবার রাজনীতি থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ না করা পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
২০১৪ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা দখল করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান প্রাউত। ২০১৯ সালে বিতর্কিত এক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর ক্ষমতাকে আরও পোক্ত করেন।
দেশটির পার্লামেন্ট নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে ভোট গ্রহণের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এরই মধ্যে প্রাউত এ ঘোষণা দিলেন। গত মে মাসের নির্বাচনে ভোটাররা সেনা-সমর্থিত দলগুলোকে ব্যাপকভাবে বর্জন করেন।
ইউনাইটেড থাই ন্যাশন (ইউটিএন) দলের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা বিবৃতিতে প্রাউত বলেন, ‘এখন থেকে ইউটিএন পার্টির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের মধ্য দিয়ে আমি রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে বিদায় নিচ্ছি।’
পার্লামেন্ট নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি ইউটিএন দলে যোগ দিয়েছিলেন। পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিরোধী মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (এমএফপি) ও ফেউ থাই পার্টির কাছে ধরাশায়ী হয় সেনা-সমর্থিত ক্ষমতাসীন দল ইউটিএন। দলটি পঞ্চম স্থান দখল করে।
বিরোধী দলগুলোর জনগণের ভোটে ভেসে গেছে। ভোটাররা প্রায় এক দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা সেনা–সমর্থিত সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে সংস্কারের পক্ষে ভোট দেন।
প্রাউত তাঁর বিবৃতিতে দলের কর্মীদের সমালোচনা ঊর্ধ্বে থাকা থাই সমাজের তিনটি স্তম্ভ ‘জাতি, ধর্ম ও রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলো’ রক্ষা করার আহ্বান জানান।
সূত্র : প্রথম আলো