• বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ভারতকে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে: খেলাফত মজলিস বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ সীমান্তে যে কোনো অপতৎপরতা রোধে প্রস্তুত বিজিবি ভারতকেই শান্তিরক্ষা বাহিনীর সহায়তা নেওয়ার কথা বললেন উপদেষ্টা আসিফ চিন্ময়ের পক্ষে ছিলেন না আইনজীবী, জামিন শুনানি পেছালো দুর্নীতির শীর্ষে পাসপোর্ট-বিআরটিএ-আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা : টিআইবি সংস্কার নিয়ে কারও চিন্তা করার দরকার নেই, সংস্কার আমরা করবো বাতিল হলো বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান আইন মেডিকেলে ভর্তিতে ‘অটোমেশন’ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেকের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

ডিএনসিসির অভিযান

24live@21
আপডেটঃ : বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩

এডিসের লার্ভা পাওয়ায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা জরিমানা

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের চতুর্থ দিনে ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২১ মামলায় ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে সংস্থাটি। এছাড়া আরও দুটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন।

তিনি জানান, ডিএনসিসির ১০ অঞ্চলে একযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। জুলাই মাসজুড়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এর মধ্যে অঞ্চল-৩-এর আওতাধীন খিলগাঁও তালতলা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসাবাড়ি ও নির্মানাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাঁড়ে মশক বিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ছয়টি মামলায় মোট তিন লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অঞ্চল-১ ও ৭-এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় চারটি মামলায় মোট দুই লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অঞ্চল-২-এর আওতাধীন পল্লবী থানা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় দুটি মামলায় দুই লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া দুটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।

অঞ্চল-৫-এর আওতাধীন মোহাম্মদপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে তিনটি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিন মামলায় এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ডিএনসিসির অঞ্চল-৪-এর আওতাধীন মিরপুর ৬০ ফিট এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান অভিযান পরিচালনা করেন। দুটি বাড়িতে এবং একটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় বাড়ির মালিকদের তিনটি মামলায় এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ডিএনসিসির অঞ্চল-৬-এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে ছয়টি মামলায় ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অঞ্চল-৯-এর আওতাধীন সোলমাইদ, সরকারবাড়ি মোড় এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। নির্মাণাধীন দুটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় দুটি মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এছাড়াও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ডিএনসিসির ১০ অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করেন এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।

সূত্র : জাগোনিউজ২৪.কম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ