আগামী ১ মাস সকল সরকারি হাসপাতালে ১০০ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো যাবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিশেষ সতর্ক বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে।
খবর তথ্য বিবরণীর।
এতে বলা হয়, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে, পরিবেশ পরিচ্ছন্নতার ওপর নজর দিতে হবে বলে পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে বার্তায় বলা হয়েছে।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, তীব্রমাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরের পেশি ও জয়েন্টে ব্যথা, বমি বমি ভাব, নাসিয়া গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া,শরীরে র্যাশ ওঠা,শরীরে লালচে দানা, পাতলা পায়খানা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।এতে ডেঙ্গু জ্বর হলে খাবারের বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, জ্বর হলে বেশি বেশি তরল খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের রস, স্যুপ খেতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধের বিষয়ে বলা হয়েছে, ঘরের বা অফিসের বা কর্মস্থলের জানালা সবসময় বন্ধ রাখতে হবে, মশার কামড় থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব শরীর ঢেকে রাখতে পারে এমন পোশাক পরিধান করতে হবে। দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। পরিবার, প্রতিবেশী ও কমিউনিটির মধ্যে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সকলকে সরাসরি যুক্ত হওয়ার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।
মশার প্রজননরোধে করণীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, ঘরে ও আশপাশের যে কোন পাত্রে বা জায়গায় মাঠ অথবা রাস্তায় পানি জমতে দেওয়া যাবে না। ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা বা নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারি সেল, ফ্রিজে জমে থাকা পানি ৩ দিনের মধ্যে ফেলে দিতে হবে, ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে।
ডেঙ্গু বিষয়ক এই বিশেষ বার্তায় আরো জানানো হয়, ডেঙ্গু নিয়ে যেন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক না ছড়ায়। সাধারণ চিকিৎসাতেই এই জ্বর সেরে যায়। তবে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম এবং হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর মারাত্মক হতে পারে।
সূত্র :বাসস