তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির সংসদ বিলুপ্তির দাবি অত্যন্ত দুরভিসন্ধিমূলক। দেশে একটি সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টিই তাদের উদ্দেশ্য। তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতর সম্মেলন কক্ষে ‘গন্তব্য স্মার্ট বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মো. আবদুল জলিল প্রমুখ মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন। আধুনিক সমৃদ্ধ ডিজিটাল স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে ৪৮টি ফিচারের এই সংকলন গ্রন্থ প্রকাশের জন্য তথ্য অধিদফতরকে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বুধবার বিএনপির কর্মসূচি থেকে দেওয়া সরকারের পদত্যাগের দাবি পুরনো কথাই নতুন করে বলা। তবে সেখানে একটি বিষয় অত্যন্ত দুরভিসন্ধিমূলক, সেটি হচ্ছে তারা যে দাবি দিয়েছে সেখানে তারা বলেছে- সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে।’ সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদ পরবর্তী সংসদ নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংসদ বিলুপ্ত করার দাবি দেওয়া একটি দূরভিসন্ধি। এতে প্রমাণ হয়, তারা আসলেই দেশে একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে চায় এবং সেটি করে তারা অসাংবিধানিক কোনো কিছুকে জায়গা করে দিতে চায়। সে লক্ষ্যেই তারা সংসদ বিলুপ্ত করার দাবি দিয়েছে।’ এটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি স্বরূপ এবং গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার হীন উদ্দেশ্যেই বিএনপি এই দাবি দিয়েছে, বলে উল্লেখে করেন হাছান মাহমুদ।
বিএনপি ঘোষিত একদফা দাবিতে আগামী ১৮-১৯ জুলাই পদযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একদফা তারা মাঝে মধ্যেই ঘোষণা করে। গত বছর একবার একদফা ঘোষণা দিয়ে বলেছিলো বেগম জিয়া সুস্থ হয়ে এসে সভায় যোগ দেবেন। তারেক জিয়া কিভাবে উড়ে আসবেন সে ব্যাখ্যা তারা দেয়নি, কিন্তু বলেছে তিনিও উড়ে এসে যোগ দেবেন।
তারা এ রকম অনেক কিছু বলেছিলো। কিন্তু সে আন্দোলন গরুর হাটে মারা গেছে।’ ‘এর আগেও বিএনপি নানা ধরণের ঘোষণা দিয়েছিলো কিন্তু কোনোটিই হালে পানি পায়নি’ উল্লেখ করে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘যেমন ২০১৮ সালে তারা ঘোষণা দিয়েছিলো যে বেগম জিয়ার যখন শাস্তি নিশ্চিত হবে, তখন আন্দোলন করবে। কিন্তু তারা তা পারেনি। আবার বেগম জিয়াকে মাঝেমধ্যে খুব অসুস্থ বানিয়ে জীবন সংকটাপন্ন বলে মানুষের সহানুভুতি আদায়ের চেষ্টাও হালে পানি পায়নি।’
সাংবাদিকরা নির্বাচনের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং মার্কিন প্রতিনিধিদের আগমন নিয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইইউ প্রতিনিধি দল এসেছে নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে, স্বপ্রণোদিত হয়ে নয়। তারা পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রস্তুুতি হিসেবে এ সফরে এসেছেন সুতরাং সেটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সহায়ক। আর মার্কিন প্রতিনিধি দলের আগমনকে বহুমাত্রিক সহযোগিতা বিষয়ক। তারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী, বাণিজ্যে অংশীদার।
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গেছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা একটি মানবিক সমস্যা, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। অর্থাৎ মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফর আমাদের সম্পর্ককে দৃঢ় করার ক্ষেত্রে সহায়ক।’
সূত্র :বাসস