নগরীর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডস্থ পাথরঘাটা বান্ডেল রোডের সেবক কলোনিতে গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ হয়ে তিন মেয়ে হারানো মিঠুন-আরতি দম্পতির হাতে ব্যক্তিগত অনুদান তুলে দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
দুর্ঘটনার পরপরই পরিবারটির খোঁজ-খবর নিয়ে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিলেন মেয়র। আজ রোববার সকালে মেয়র পরিবারটির শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের সান্ত¡না দিতে পাথরঘাটার সেবক কলোনির বাসায় যান এবং পরিবারটির হাতে অনুদানের নগদ অর্থ তুলে দেন।
এসময় সেবক কলোনির বাসিন্দারা সেবকদের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে মেয়রকে জানালে মেয়র তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মৌখিক নির্দেশনা দেন।
আরতি-মিঠুন দম্পতিকে সান্ত¡না জানিয়ে মেয়র বলেন, আপনারা তিন সন্তানকে হারিয়েছেন। এ ক্ষতি পূরণ হবার নয়। সন্তানের এমন চলে যাওয়া কোনো বাবা-মায়ের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব না। এত বড় বেদনা আর হতে পারে না। মহান সৃষ্টিকর্তা আপনাদের এই শোক সইবার শক্তি ও ধৈর্য্য দিক।
এসময় সেবকদের জন্য বান্ডেল কলোনিতে তিনটি বহুতল ভবনের কাজ পরিদর্শন করে মেয়র বলেন, সেবকদের নিরাপদ জীবন উপহার দিতে এই প্রকল্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে যে সেবকরা দিন-রাত শ্রম দেন তাদের জীবনকে সুন্দর করতে আমি সচেষ্ট আছি। পুরো সেবক কলোনিতে কোন ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ বিদ্যুত বা গ্যাসের সংযোগ আছে কী না তা পরীক্ষা করে অপসারণ করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, পুলক খাস্তগীর, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম, রাজনীতিবীদ ও প্রাবন্ধিক ড. মাসুম চৌধুরী, সহকারী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ মো. হাশেম।
উল্লেখ্য, নগরীর পাথরঘাটা বান্ডেল রোডের সেবক কলোনিতে থাকেন পরিচ্ছন্ন কর্মী মিঠুন দাস ও আরতি দাস। গত ২০ জুন সকালে রান্নার চুলার গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হয় এ দম্পতির চার মেয়ে। চট্টগ্রাম ও ঢাকার হাসপাতালে দুই মেয়ের মৃত্যুর পর বুধবার সকালে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে মারা যান তৃতীয় মেয়ে ছয় বছর বয়সী হ্যাপি দাশ। ২০ জুন সকালে আরতি ও মিঠুন দুইজনই কাজে বেরিয়েছিলেন। এ সময় তাদের চার মেয়েই ঘরে ছিল। বড় তিনজনকে তারা তিন বছর বয়সী মেয়ে সুইটিকে দুধ খাওয়াতে বলে গিয়েছিলেন । সকালে দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাসের চুলায় আগুন লেগে যায় আর তা থেকেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তিন শিশুর।
সূত্র :বাসস