টাইফুন তালিম ধেয়ে আসায় চীনের দক্ষিণাঞ্চল ও ভিয়েতনামে কয়েক হাজার মানুষকে সোমবার সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, কয়েক ডজন ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। চীনের আবহাওয়া প্রশাসন জানিয়েছে, টাইফুন ‘তালিম’ সোমবার রাতে গুয়াংডং থেকে হাইনান প্রদেশ পর্যন্ত দক্ষিণ উপকূল বরাবর আঘাত করায় ভূমিধস সৃষ্টি করে। সেখানে প্রবল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। খবর এএফপি’র।
পূর্বাভাসে বলা হয়, ঝড়ের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়ে এটি গুরুতর টাইফুনে পরিণত হবে। এই আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ সেখানে কমলা সতর্কতা (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা) জারি করেছে। ভিয়েতনামের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা সোমবার বিকেল থেকে কোয়াং নিন এবং হাই ফং প্রদেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকাগ্রস্থ এলাকা থেকে প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশটির শীর্ষ দুর্যোগ মোকাবেলা কমিটি এক অনলাইন বিবৃতিতে বলেছে, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলিতে টনকিন উপসাগরে যে সব ঝড় আঘাত হেনেছে, এটি সেগুলোর অন্যতম হতে পারে।’ পর্যটকদের প্রত্যন্ত দ্বীপগুলো ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং ঝড় এড়াতে বিমান সংস্থাগুলো তাদের পরিষেবা পুনঃনির্ধারণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন সম্ভাব্য বন্যার সতর্কতা জানিয়ে রোববার গভীর রাতে ‘অবিলম্বে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজের’ প্র¯‘িত নিতে দুর্যোগ মোকাবেলা দলকে নির্দেশ দিয়েছেন। হংকং অবজারভেটরি নিচু এলাকায় সম্ভাব্য জলোচ্ছ্বাস ও বন্যার ব্যপারে সতর্ক করেছে এবং ঝড়ের কারণে ফেরি ও নগরীর বেশিরভাগ বাস পরিষেবা স্থগিত করেছে। হংকং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বের কারণে এক হাজারেরও বেশি যাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, হাইনান দ্বীপের মিলান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং কিয়ংহাই বোয়াও বিমানবন্দর উভয়ই সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করেছে। স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ম্যাকাওর কাছে গুয়াংডংয়ের ঝুহাই জিনওয়ান বিমানবন্দর ৮০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে।
সুত্র :বাসস