• সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সংস্কার নিয়ে কারও চিন্তা করার দরকার নেই, সংস্কার আমরা করবো বাতিল হলো বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান আইন মেডিকেলে ভর্তিতে ‘অটোমেশন’ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেকের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার সাক্ষাৎ ‘চিত্রকর্মগুলো তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ’ জেনেভায় আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, মিশনের শ্রম কাউন্সেলরকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ মা নেই, কারাগারে বাবা : শিশুদের দেখভাল করতে হাইকোর্টের নির্দেশ সংস্কারের গতি ঠিক করবে নির্বাচন কত দ্রুত হবে : এএফপিকে প্রধান উপদেষ্টা সাগর-রুনি হত্যার ৩২০১ পৃষ্ঠার নথি পেয়েছে পিবিআই সম্প্রীতি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত: সেনাপ্রধান

মাগুরায় উচ্চফলনশীল জি-৯ জাতের কলা চাষ

24live@21
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩

জেলায় প্রথম বারের মত উচ্চফলনশীল জি-৯ জাতের কলা চাষ করেছেন সদর উপজেলা হাজিপুর ইউনিয়নের নড়িহাটি গ্রামের বিকাশ কুমার ধর নামে এক কৃষক। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে উৎপাদিত এ জাতের কলা চাষে ভালো ফলন ও বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন। বাণিজ্যিকভিত্তিতে এ জাতের কলা চাষ কৃষক পর্যায়ে বৃদ্ধি করা গেলে ভালো ফলনের পাশাপাশি কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।

কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য মতে, টিস্যু কালচারের মাধ্যেমে উৎপাদিত জি-৯ জাতের উচ্চ ফলনশীল কলার চারা হয় সম্পূর্ণ রোগ মুক্ত। এ জাতের কলার ফলন বেশি, সুস্বাধু । তাই এ জাতের কলা চাষ করে অধিক লাভবান হতে পারেন কৃষকরা। সাধারণ জাতের কলায় যেখানে কাধিতে ৬০ থেকে ১২০টি কলা পাওয়া যায়, সেখানে উচ্চফলনশীল এ জাতের কলায় এক কাধি থেকে ২২০ থেকে ২৪০টি বা কোন কোন ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি ফলন পাওয়া য়ায়। শুরুতে এটি দেখতে সবুজ হলেও পাকার পর হলুদ রংয়ের হয়। যা দেখতে সাগর কলার মত। এটি বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায়।

সরেজমিন নড়িহাটি গ্রামে গিয়ে কথা হয় বিকাশ কুমার ধরের সাথে। তিনি সরকারি চাকুরির পাশাপাশি কৃষি কাজের সাথেও জড়িত । তিনি জানান, ৩৫ শতাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল জি-৯ জাতের কলা চাষ করেছেন। টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে উৎপাদিত এ চারা তিনি সংগ্রহ করেন গাজীপুর জেলার একটি নার্সারি থেকে। প্রতি ৬ ফুট দূরত্বে মোট ৪০০টি কলা গাছ লাগিয়েছেন তিনি। প্রতিটি গাছে ধরেছে কলা। ফলনও ভালো হয়েছে । আমাদের এলাকায় জি-৯ জাতের উচ্চফলনশীল জাতের কলা চাষ অনেকটাই নতুন। এ কলা চাষ খুব লাভজনক। চারা সংগ্রহ থেকে শুরু করে জমি প্রস্তত ও লাগানোসহ এ পর্যন্ত কলা চাষে আমার ব্যয় হয়েছে প্রায় এ লাখ টাকা। কলার ভালো ফলন ও পোকামাকড়ের আক্রমণ ঠেকাতে ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। একটি কাধিতে অন্তত ২৬০ থেকে প্রায় ৩০০টি কলা ধরেছে। ৪০০টি কলা গাছ থেকে ৪ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।

তিনি আরো জানান, জি-৯ জাতের কলা বছরের যেকোন সময় চাষ করা যায়। এ কলার চারা মাটিতে লাগানোর ৭ থেকে ৮ মাস পর ফলন তোলার উপযোগী হয়। প্রতিটি গাছের গোড়ায় ৬ থেকে ১০টি করে চারা রয়েছে। যা বিক্রির মাধ্যমে বাড়তি অর্থের যোগান আসবে। এ জাতের কলা দেখতে সাগর কলার মতই। তার দেখাদেখি একালার অনেক কৃষকই টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে কলা চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এ কলা চাষের জন্য সদর উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সার্বিকভাবে আমাকে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া দিচ্ছেন।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান জানান, জি-৯ জাতের কলার জাতটি উচ্চ ফলনশীল কলার জাত। টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে এ কলার চাষ মাগুরাতে এ প্রথম। এ জাতের কলায় রোগ বালাই তেমন হয় না। খেতেও সুস্বাদু। সাধারণ জাতের কলা গাছে যে পরিমান কলা ধরে সে তুলনায় এ গাছে অনেক বেশি কলা ধরে। এটি চাষ ও বিক্রির মাধ্যমে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন। মাগুরা জেলায় এ কলা চাষ বৃদ্ধির জন্য আমরা কৃষক পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি।

সূত্র :বাসস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ