জেলার মুক্তারপুরের একটি হিমাগারে বেশি দামে আলু বিক্রির দায়ে রশরাজ সরকার নামে এক আলু মজুদদারকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুক্তারপুরের হিমাগারটিতে শনিবার দুপুরে আকস্মিক পরিদর্শন করে এই অসঙ্গতি পেয়ে রশরাজকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আসলাম খান বলেছেন, মজুদদারী আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় হবে।
পুলিশ জানায়,রশরাজ ও মহাপরিচালকের কথোপকথনে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। ৫০ কেজির ১০ হাজার বস্তা আলু রিভার ভিউ হিমাগারে সংরক্ষণ করেন রশরাজ সরকার। এর মধ্যে রশরাজ ২৫০ বস্তা চট্টগ্রামের আরতদার কামরুলের কাছে বিক্রি করেন ৩৭ টাকা কেজি দামে। কোন পাকা রশিদ ছাড়াই ফোনে এই আলুর দাম নির্ধারণ করে দেন তিনি।
তাৎক্ষণিক কামরুলের কাছে মোবাইলে ফোনে ঘটনা নিশ্চিত করা হয়। সরকার নির্ধারিত পাইকারি ২৭ টাকা কেজি দামের চেয়ে ১০ টাকা বেশি দামে আলু বিক্রির কথা স্বীকার করেন রশরাজ।
এসপি আসলাম খান বলেন, আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হিমাগারটিতে ১ লাখ ৩২ হাজার বস্তা আলু সংরক্ষণ করা এখন প্রায় ৭০ হাজার বস্তা আলু মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার বস্তা বীজ আলু।
মুন্সীগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক আবুজাফর রিপন জানিয়েছেন, আলুর বাজার দর ভোক্তা পর্যায়ে কেজি প্রতি ৩৭ টাকা নিশ্চিত করতে প্রশাসন কাজ করছে। এমন আরও রসরাজদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য,আলু উৎপাদনের অন্যতম শীর্ষ জেলা মুন্সীগঞ্জের ৬৩টি হিমাগারে এখনো ২ লাখ ২৩ হাজার ১৮২ মেট্রিক টন আলু মজুদ রয়েছে। এরমধ্যে ৭৭ হাজার ৫৮১ মেট্রিক টন বীজ আলু। জেলায় গেল মৌসুমে ৩৪ হাজার ৩৪৬ হেক্টর জমিতে ১০ লাখ ৫৬ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি আলু উৎপাদন হয়। আর জেলায় প্রতিবছর আলুর চাহিদা প্রায় ৯৬ হাজার মেট্রিক টন।
সূত্র :বাসস