চট্টগ্রামের ভুজপুর থানার হরিমোহন রায় হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নিপত কর্মকার ১৬ বছর পর র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। নরসিংদী জেলার সদর থানা এলাকা থেকে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং র্যাব-১১, নারায়ণগঞ্জ-এর যৌথ দল গতকাল তাকে আটক করে।
র্যাব-৭ আজ জানায়, ২০০৭ সালের ২ অক্টোম্বর হরিমোহন রায় ও তার স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়।
উক্ত ঝগড়ার জের ধরে ৩ অক্টোম্বর সকালে পুনরায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়াশেষে সকালে হরিমোহন রায় কাজের জন্য চা বাগানের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হলে পথিমধ্যে তার স্ত্রীর ভাই নিপত কর্মকার তার পথরোধ করে এবং বোনের সাথে ঝগড়া করা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে নিপত কর্মকার লাঠি দিয়ে হরিমোহনের মাথায় আঘাত করে মাটিতে ফেলে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। হরিমোহন রায়ের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে নিপত কর্মকার পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম অবস্থায় হরিমোহনকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এ হত্যাকা-ের ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে ৪ অক্টোবর ভুজপুর থানায় নিপত কর্মকারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আসামি আতœগোগনে চলে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ প্রতিবদেন এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রদানের ভিত্তিতে আদালত বিচার প্রক্রিয়াশেষে আসামির অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদ- এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
র্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, বর্ণিত হত্যা মামলার প্রধান আসামি ভুজপুর রামগড় চা বাগানের মৃত যুবরাজ কর্মকারের পুত্র নিপত কর্মকার (৩৬) নরসিংদী জেলার সদর থানা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল র্যাব-৭ ও র্যাব-১১ এর যৌথ দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটক আসামি বর্ণিত হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করে। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সূত্র :বাসস