ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজ এন্টারপ্রেনার’স অর্গানইজেশন (ইও) বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ে ছাত্র উদ্যোক্তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে অশংগ্রহনের মাধ্যমে বিজয়ী উদ্যোক্তাদের একজন গ্লোবাল স্টুডেন্ট এন্টারপ্রেনারস অ্যাওয়ার্ডস (জিএসইএ) প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেয়ে থাকে।
ইও বাংলাদেশ এর কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগঠনটি আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জিএসইএ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোক্তা উন্নয়ন ক্লাব (ডিইউইডিসি) এবং ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমিউনিকেশন ক্লাব (আইবিএসিসি) অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করেছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে লার্নিং অব ইও-বাংলাদেশের কো-চেয়ার এবং পারসোনা বিউটি কেয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাওন তানভীর, গিয়ারস গ্রুপের এমডি এবং কো-চেয়ার (ফাইন্যান্স) অব ইও-বাংলাদেশ (২০২৩-২৪) নাফীস এম খান, এলসন কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেডের ডিরেক্টর এবং জিএসইএ-বাংলাদেশের চেয়ার সাদাত অমি এবং মোস্তফা কামরুস সোবহান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের চাকরি করবো এমন প্রচলিত ধারনার বাইরে গিয়ে নিজেদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান জানান। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশের মত জনবহুল একটা দেশে উদ্ভাবনামূলক নানা আইডিয়া নিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। বক্তারা প্রযুক্তিনির্ভর বা প্রযুক্তিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
জিএসইএ-বাংলাদেশের চেয়ার সাদাত অমি এন্টারপ্রেনার’স অর্গানইজেশন এবং সংস্থাটির বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কার্যক্রম সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেন। তিনি বলেন, সংস্থাটির ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম হলো গ্লোবাল স্টুডেন্ট এন্টারপ্রেনারস অ্যাওয়ার্ডস প্রতিযোগিতা। যেখানে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
এর আগে ইও-বাংলাদেশ গত ৫ সেপ্টেম্বর বুয়েট, ১২ সেপ্টেম্বর ডিআইইউ এবং ১ অক্টোবর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জিএসইএ ক্যাম্পাইনের আয়োজন করে। এবছর ইও-বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা দেওয়া।
এই প্রতিযোগিতায় নিবন্ধনের সময়সীমা ৭ নভেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত। gsea.org/apply লিঙ্ক-এ প্রবেশ করে আবেদন করা যাবে। ২০২৪ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝিতে বাংলাদেশের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের বিজয়ী পাবেন ৩ লাখ টাকা। বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারী পাবেন ৫০ হাজার ডলার, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী পাবেন ২০ হাজার ডলার এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী পাবেন ১০ হাজার ডলার।
উদ্যোক্তা সংস্থা ইও ২২০টির বেশি অধ্যায় এবং ৭৬টি দেশে ১৮ হাজারের বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের একটি বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক। ১৯৮৭ সালে স্কেলিংআপ প্রশিক্ষক ভার্ন হার্নিশ প্রতিষ্ঠিত ইও ছোট এবং বড় ব্যবসার মালিকদের একে অপরের কাছ থেকে শিখতে সহায়তা করে, যা বৃহত্তর ব্যবসায়িক সাফল্য এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ব্যক্তিগত জীবন গড়ে তোলার পথ নির্দেশ করে।
সূত্র :বাসস