জেলায় একদিকে চলছে আমন ধান কাটার উৎসব ,অন্য দিকে মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে আলুর আবাদ । এবার আবহাওয়া অনকূল থাকায় আলুর উৎপাদন ভালো হওয়ার আশা করছেন কৃষক। মাঠে মাঠে বীজ আলু রোপণে ব্যস্ত হয়ে সময় পার করছেন কৃষকরা। বগুড়ার কৃষকরা আলু মৌসুমের শুরুতে ভালো লাভের আশায় আগাম আলু চাষও শুরু করছে।
নভেম্বর মাসের মধ্যে আমন ধান কাটা শেষ হলে ডিসেম্বর মাসে পুরা দমে আলু রোপণে ব্যস্ত হয়ে থাকবেন কৃষক। বগুড়ায় এবার আলু উৎপাদন কৃষি বিভাগের দেয়া লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন জেলার কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান জানান,জেলায় এবার গত বছরের চেয়ে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে বেশি আলু চাষ হবে । তিনি জানান ,এবার জেলায় ৫৫ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে ১৩ লাখ ২০ হাজার ৪১০ মেট্রিকটন আলু চাষেরলক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।গত বছর ৫৩হাজার ২১ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন হয়েছিল ১২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন । কৃষি কর্মকর্তারা জানান, গত বছর অন্য সবজির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ্আলু উপর চাপ বেশি পড়েছিল । তাই আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এবার নতুন আলু ওঠার সাথে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থানেয়া হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরো জানান গত বছরও আলুর উৎপাদন ভালো ছিল। এবারও আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এমনটাই মনে করছে কৃষি কর্মকর্তারা। ইতমধ্যে জেলায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ সম্পন্ন হয়েছে।আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত আলু চাষ অব্যাহত থাকবে।অনেক কৃষকবেশি লাভের আমন ধান কাটা শেষ হতেই আগাম আলু চাষ করেছে। গত বছরের মত এবারও সরিষা ওঠার পর সেই জমিতে আবার আলু চাষ করবে কৃষক জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ আরো জানান,উচ্চ ফলনশীল সানসাইন জতের আলুর উপর ঝুকেছে কৃষক। সান সাইন জাতের আলু বিঘাতে ১২০ থেকে ১৫০ মণ উৎপাদন হবে। এ ছাড়া এ্যাটারিক্স জাতের আলু বিঘাতে ৮৬ মণ. ও ডায়মন্ড জাতের আলু বিঘাতে গড়ে ৭৫ মণপর্যন্ত উৎপাদন হয়ে থাকে। জেলার নন্দীগ্রামউপজেলায় আগে ধান রোপণ ও কাটা হয়ে থাকে। সেখানে আলু চাষ আগে হয়ে থাকে।
জেলার ৪২ টি কোল্ডষ্টোরে ৩ লাখ ৪৭ হাাজর ৮৪৮ মেট্রিকটন(বীজ আলুসহ)। রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। আর ক‘দিন পর কোল্ডষ্টোর গুলো নুতনআলু রাখার জন্য ধোয়া মোছার কাজ শুরু হবে।
সূত্র :বাসস