• মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সংস্কার নিয়ে কারও চিন্তা করার দরকার নেই, সংস্কার আমরা করবো বাতিল হলো বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান আইন মেডিকেলে ভর্তিতে ‘অটোমেশন’ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেকের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার সাক্ষাৎ ‘চিত্রকর্মগুলো তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ’ জেনেভায় আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, মিশনের শ্রম কাউন্সেলরকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ মা নেই, কারাগারে বাবা : শিশুদের দেখভাল করতে হাইকোর্টের নির্দেশ সংস্কারের গতি ঠিক করবে নির্বাচন কত দ্রুত হবে : এএফপিকে প্রধান উপদেষ্টা সাগর-রুনি হত্যার ৩২০১ পৃষ্ঠার নথি পেয়েছে পিবিআই সম্প্রীতি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত: সেনাপ্রধান

রাজধানীসহ সারাদেশে ১৯৭টি যানবাহন ও স্থাপনায় আগুন

24live@21
আপডেটঃ : বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৩

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে (২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর) গত ২৪ দিনে বিএনপি-জামায়াত শিবিরের অবরোধে দুর্বৃত্তরা ১৯৭টি বিভিন্ন যানবাহন ও স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করেছে বলে জানিয়েছে “দি লাইফ সেভিং ফোর্স বাহিনী”।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন নির্বাপণে ঢাকাসহ সারাদেশে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৩৪১ টি ইউনিট ও ১৮৮৮ জন জনবল কাজ করে। এখন পর্যন্ত এসব ঘটনায় দু’জন ফায়ার ফাইটার ও তিনজন যাত্রীসহ ৫ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বাসসকে জানান, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত উচ্ছৃঙ্খল জনতার অগ্নিকান্ডে ১৮৫টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা পুড়ে যায়।

যানবাহনের মধ্যে ১১৮টি বাস, ২৬টি ট্রাক, ১৩টি কাভার্ড ভ্যান, ৮টি মোটরসাইকেল, ২টি প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ৩টি, পিকআপ ৩টি, সিএনজি ৩টি, ২টি ট্রেন, ১টি নছিমন, ৩টি লেগুনা, ১টি ফায়ার সার্ভিস’র পানিবাহী গাড়ি, ১টি পুলিশের গাড়ি, ১টি অ্যাম্বুলেন্স, বিএনপি অফিস ৫টি, আওয়ামী লীগ অফিস ১টি, পুলিশ বক্স ১টি, কাউন্সিলর অফিস ১টি, বিদ্যুৎ অফিস ২টি, বাস কাউন্টার ১টি, শোরুম ২টি এবং ২টি স্থাপনা রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যানের সূত্র মতে, ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত বিগত ২৪ দিনে উচ্ছৃঙ্খল জনতা দিনে গড়ে ৭টি করে যানবাহনে আগুন দিয়েছে। এরমধ্যে গড়ে প্রতিদিন ৫টি বাসে আগুন দিয়েছে। তারমধ্যে ২৮ অক্টোবর ২৯টি, ২৯ অক্টোবর ১৯ টি, ৩১ অক্টোবর ১২টি, ১ নভেম্বর ১৪টি, ২ নভেম্বর ৭টি, ৪ নভেম্বর ৬টি, ৫ নভেম্বর ১৩টি, ৬ নভেম্বর ১৩টি, ৭ নভেম্বর ২টি, ৮ নভেম্বর ৯টি, ৯ নভেম্বর ৭টি, ১০ নভেম্বর ২টি, ১১ নভেম্বর ৭টি, ১২ নভেম্বর ৭টি, ১৩ নভেম্বর ৮টি, ১৪ নভেম্বর ৪টি, ১৫ নভেম্বর ৬টি, ১৬ নভেম্বর ৭টি, ১৮ নভেম্বর ৬টি, ১৯ নভেম্বর ১৩টি, ২০ নভেম্বর ৬টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

অপরদিকে দেখা গেছে, ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায়। এছাড়া দেশের ৩৪টি জেলায় আগুনের ঘটনা ঘটলেও বাকি ৩০ জেলায় কোন অগ্নিকান্ডের সংবাদ পায়নি ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা জানান, ঢাকা সিটি করপোরেশনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬০টি, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩৫টি আগুনের ঘটনা ঘটে। এছাড়া এলাকা ভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মিরপুরে এলাকায় সবচেয়ে আগুনের ঘটনা বেশি। মিরপুর এলাকায় ১৭টি, গুলিস্তানে ৯টি, নয়াপল্টন-কাকরাইল এলাকায় ৭টি, খিলগাঁও-মুগদা এলাকায় ৭টি, পোস্তাগোলা-যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৭টি, মতিঝিল-আরামবাগ এলাকায় ৫টি, মোহাম্মদ ৪টি, বারিধারা ৪টি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।

এক্ষেত্রে পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকা সিটিতে ৯৫টি, ঢাকা বিভাগে ৩৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪টি, বরিশাল বিভাগে ৭টি, রংপুর বিভাগে ৭টি, খুলনা বিভাগে ২টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ২টি, সিলেট বিভাগে ১টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, জেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। গাজীপুরে ১৬টি, চট্টগ্রামে ১৪টি, বগুড়া ১৩টি, নারায়ণগঞ্জ ৬টি, মানিকগঞ্জ ৪টি, ফরিদপুর ৪টি, লালমনিরহাট ৪টি, নাটোর ৪টি করে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।

সূত্র :বাসস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ