নতুন বছর ২০২৪ সালের প্রথম কার্যদিবসের মতো দ্বিতীয় কার্যদিবসেও দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। তবে, লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি গত কয়েক কার্যদিবসের ধরে দাম বাড়ার তালিকায় দাপট দেখানো বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এমনকি ৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম একদিনে যতটা কমা সম্ভব ততটাই কমেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রেতার ঘর শূন্য হয়ে পড়ে থাকে বেশিরভাগ সময়।
এর আগে বছরের প্রথম দিনও শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। সেইসঙ্গে কমে লেনদেনের পরিমাণ। আর আজ যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট ক্রেতা সংকটে পড়ে, এগুলোর দাম বছরের প্রথম কার্যদিবসে বাড়ে।
এ পরিস্থিতিতে নতুন বছরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় লেনদেনের আধাঘণ্টার মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে লেনদেনের শেষ দিকে ঢালাও দরপতন ঘটে। এর মধ্যে গত কয়েক দিন যে প্রতিষ্ঠানগুলো দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখাচ্ছি, দেখতে দেখতে সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ে। ফলে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে প্রধান মূল্যসূচকের মোটামুটি বড় পতন দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছে মাত্র ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩২টির। আর ১৬৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৯ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫১৬ কোটি ৮৮ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৪৩ কোটি ৭৮ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৭৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে সি পার্ল বিচ রিসোর্টের শেয়ার। কোম্পানিটির ২১ কোটি ৮৭ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশের ২০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিডি থাই অ্যালুমেনিয়াম।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- অলিম্পিক এক্সোসরিজ, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, আইএফআইএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স এবং সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৬টির এবং ৯৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
সূত্র :জাগোনিউজ২৪.কম