জেলায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধিতে মার্কেটগুলোতে হিড়িক পড়েছে গরম কাপড় কেনাকাটায়।
সরোজমিনে নগরীর ছোট-বড় পাইকারী ও খুচরা মার্কেট ঘুরে দেখাগেছে, কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে পুরাতন কাপড়ের গাইড কিনে এনে এসব ব্যবসা করছেন। যার মধ্যে রয়েছে কম্বল, সোয়েটার, জ্যাকেট, ব্লেজার, কোর্ট, শার্ট-প্যান্টসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক। কিছু খুচরা ব্যবসায়ী (যাদের মূলধন বেশি) আবার সরাসরি চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে এ গাইড কিনে এনেও ব্যবসা করছেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা থেকে গরম পোশাক কিনতে আসা মো. সোহেল, রিত্তা দাস, আলমগীর হোসেন বলেন, বিদেশ থেকে আসা এ পুরোনো গরম পোশাক না থাকলে আমাদের মতো নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা বিপদেই পড়ে যেতাম। তিন শত থেকে সাত শত টাকার মধ্যে উন্নতমানের ভালো কম্বল ও সোয়েটার পাওয়া যায়। নিজের, স্ত্রীর ও পরিবারের বৃদ্ধ সদস্যদের জন্য তাই সোয়েটা ও কম্বল কিনতে এসেছি।
এ বিষয়ে নগরীর সুপরিচিত ‘হাজী মো: মহসিন হকার্স মার্কেট’ ও নগরীর ষ্টীমারঘাট ‘বরিশাল বহুমুখি সিটি মার্কেট’র একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, এ বছর শীত মৌসুম আসার শুরু থেকে এ পর্যন্ত তুলনা মূলকভাবে বিগত বছরগুলোর চেয়ে বিকিকিনি অনেকটা কম। তবে বর্তমান সময়ে শীতের কারণে কেনা বেচা বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা সূত্র আরো বলেন, এ সব মার্কেটের সিংহভাগ ক্রেতাই হচ্ছে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে নি¤œ-মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন। মূলত তাই এ পুরাতন কাপড়ের গাইড কিনে এনে ব্যবসায়ীরা এসব কম্বল, সোয়েটার, জ্যাকেট, ব্লেজার, কোর্ট, শার্ট-প্যান্টসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক ধৌত ও আয়রন করে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ভাবে বিক্রি করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে ষ্টীমারঘাট ‘বহুমুখি সিটি (গার্মেন্টস) মার্কেট’র সদস্য সচিব মো. জামাল হোসেন বলেন, এ পুরাতন কাপড়ের গাইডগুলো সরকারী অনুমোদনের মাধ্যমে সাউথ কোরিয়া, জাপান, তাইওয়ানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। এরপর সরাসরি চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে এ গাইডগুলো কিনে এনে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে।
সূত্র :বাসস