হাড় কাঁপানো শীতের সকালে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের কম্বল বিতরণ করেছেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমরিয়া ইউনিয়নের আশ্রয়ণ কেন্দ্রে বসবাসরত ১৫০ টি শীতার্ত পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের কম্বল বিতরণ করেন তিনি।
এ সময় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম, ডুমুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আলী আহম্মেদ, ইউপি সদস্য মোমরেজ শেখ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। প্রচন্ড শীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের শীত নিবারণ বস্ত্র পেয়ে খুশি আশ্রায়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দারা।
আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দা বৃদ্ধ আউয়াল খাঁ বলেন, প্যারালাইজড স্ত্রীকে নিয়ে আগে ছোট একটি টিনের ঘরে থাকতাম। এখন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে থাকছি। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে যে শীত পড়েছে, তাতে বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে। শীতের সকালে হঠাৎ ইউএনও স্যার এসে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের কম্বল দিয়েছেন।
এখন শীতের রাতে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারবো। এজন্য প্রধানমন্ত্রকে ধন্যবাদ জানাই।
ওই আশ্রয়ণ কেন্দ্রের আরেক বাসিন্দা বৃদ্ধা মরিয়াম বেগম বলেন, আমার কম্বল অথবা লেপ কেনার সামর্থ্য নাই । পুরনো কিছু কাথা জোড়া তালি দিয়ে সেলাই করে গায়ে দিয়েই শীত পার করছি। কিন্তু এতে আজকের জব্বর শীত নিরারণ করা সম্ভব ছিল না। আমাদের কষ্টের কথা জানতে পেরে ইউএনও সাহেব মোটা কম্বল দিয়েছেন। এ কম্বল দিয়ে শীত কাটিয়ে দিতে পারব।
আশ্রায়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দা মনিকা বিশ্বাস বলেন, স্বামী ভ্যান চালিয়ে যা রোজগার করে, তা সংসার চালাতেই শেষ হয়ে যায়।
কম্বল বা অন্য কিছু কেনার সামর্থ আমাদের নেই। তীব্র শীতের ঠান্ডায় ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খুব কষ্ট হচ্ছিল। আজ প্রধানমন্ত্রীর মোটা কম্বল পেয়েছি। ছেলে মেয়েদের নিয়ে এ কম্বল মুড়ি দিয়ে আরামে ঘুমাতে পারবো।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, আজ শুক্রবার গোপালগঞ্জের তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে । তীব্র শীতের সাথে ঠান্ডা বাতাসে জনজীবন বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় আশ্রয়ণ কেন্দ্রের পরিবারগুলো খুবই কষ্ট পাচ্ছে বলে জানতে পারি। আজ সকালে সেখানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত কম্বল উপহার দেই। শীতজুড়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ অব্যাহত থাকবে।
সূত্র :বাসস