শেখ হাসিনার সরকার পতন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় নিহতদের নাম-পরিচয় সংবলিত স্মৃতিফলক ‘শহীদী ঐক্য চত্বর’-এর উন্মোচন করেছে জুলাই বিপ্লব পরিষদ।
স্মৃতিফলকে প্রাথমিকভাবে ৪৮ শহীদের নাম স্থান পেয়েছে। ভবিষ্যতে যাচাই-বাছাই করে আরও নাম যুক্ত করা হবে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে যাত্রাবাড়ী গোলচত্বরে নির্মিত এই স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন শহীদ পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গঠিত যাত্রাবাড়ীভিত্তিক ছাত্র-নেতৃত্বাধীন সংগঠন জুলাই বিপ্লব পরিষদ শহিদদের স্মরণে এই স্তম্ভটি নির্মাণ করে। স্মৃতিফলকে নামের পাশাপাশি শহীদদের পেশা, জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য যুক্ত করা হয়েছে। শহীদদের মধ্যে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, সাংবাদিক, প্রবাসী, ফ্রিল্যান্সার , মিস্ত্রি, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, অটোরিকশাচালকসহ নানা পেশার মানুষ রয়েছেন।
ফলক উন্মোচনের আগে শহীদ পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে আত্মত্যাগকারী শহীদদের স্মৃতিচারণ করেন। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
জুলাই বিপ্লব পরিষদের স্থায়ী সদস্য শাহনেওয়াজ ফাহাদের সভাপতিত্বে ও আরেক স্থায়ী সদস্য আসিফুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ নবীউল্লাহ নবী, জাগ্রত বাংলাদেশের সভাপতি আজমুল জিহাদ ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পাটির্র মিনার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সব অপরাধীর বিচার দাবি করেন।
তারা অবিলম্বে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা এবং আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
বক্তারা সরকারি ব্যবস্থাপনায় সারাদেশে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণেরও দাবি জানান।
জুলাই বিপ্লব পরিষদের আহ্বায়ক আরমিন, সদস্য সচিব বিজয়, স্থায়ী সদস্য নাঈম হাওলাদার, মুখপাত্র শান্তি খান প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নাঈম হাওলাদার বলেন, ‘আমরা শহিদদের নাম সংগ্রহ অব্যাহত রাখছি। আমরা নতুন কোনো নাম পেলেই তা ফলকে অন্তর্ভুক্ত করবো।’
এই স্মৃতিফলকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করা হলে অনেকেই শেয়ার করেছেন।