অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের চিত্রকর্মগুলো তরুণদের আবেগ এবং আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন, যা হত্যা এবং নির্যাতনের মধ্যেও সৃষ্টি হয়েছিল। কোনো পরিকল্পিত উদ্যোগ ছিল না। এতে কোনো অর্থায়ন ছিল না। এগুলো তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীতে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ আয়োজিত বঙ্গোপসাগর সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সভ্যতার ব্যর্থতাগুলো অতিক্রম করতে নতুন সভ্যতা তৈরি করতে হবে। তিনটি শূন্যে- শূন্য কার্বন নির্গমন, শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ (সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা) এবং শূন্য বেকারত্ব (তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা) অর্জনের মাধ্যমে এ নতুন সভ্যতার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সামনে অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক অবিচার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ জানে কীভাবে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয় এবং সেখান থেকে সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করতে হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বড় হুমকি। প্রতি বছর, উপকূলীয় সম্প্রদায়গুলো সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সংকট এখনই সমাধানের প্রয়োজন। একই সময়ে, আমাদের তরুণ প্রজন্ম আমাদের জন্য এক বিশাল শক্তি। ১৭১ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ২৭ বছরের নিচে। তাদের সৃজনশীলতাই আমাদের ভবিষ্যতের ভিত্তি।
প্রধান উপদেষ্টা সংলাপে অংশগ্রহণকারী বিদেশি অতিথিদের ঢাকার রাস্তাগুলো ঘুরে দেখান ও দেয়ালে আঁকা রঙিন চিত্রকর্মগুলো উপভোগ করার অনুরোধ জানান।