নাটকীয় জয়ে সুইডেনকে হারিয়ে প্রথমবারের মত নারী বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠলো স্পেন।
আজ অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে টুর্নামেন্টের প্রথম সেমি-ফাইনালে স্পেন ২-১ গোলে হারিয়েছে সুইডেনকে। ম্যাচের ৮১ থেকে ৮৯ মিনিটের মধ্যে গোল তিনটি হয়।
সেমিফাইনালের মঞ্চে স্পেনের বিপক্ষে ফেভারিট ছিলো সুইডেন। এই নিয়ে পঞ্চমবারের মত সেমিফাইনালে তারা। অপরদিকে, প্রথমবারের মত সেমির মঞ্চে তৃতীয় বিশ^কাপ খেলতে নামা স্পেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই চাপে ছিলো স্পেন। মধ্যমাঠ দিয়ে সুইডেনের আক্রমনের পরিকল্পনায় কাজে দেয়। কিন্তু স্পেনের রক্ষণদূর্গ ভাঙ্গতে পারেনি সুইডেন। ম্যাচের অর্ধেক সময় পার হবার পর লড়াইয়ে ফিরে স্পেন। তবে প্রথমার্ধে গোল আদায় করার মত কোন আক্রমন করতে পারেনি কোন দলই। ফলে গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় ম্যাচের প্রথমভাগ।
দ্বিতীয়ার্ধে সমানতালে লড়েছে সুইডেন ও স্পেন। ৮০ মিনিট পর্যন্ত স্কোর লাইনে পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি তারা। তখন নির্ধারিত ৯০ মিনিট সমতায় শেষ হবার ইঙ্গিত দিচ্ছিলো।
কিন্তু ৮১ মিনিট থেকেই পাল্টে যায় ম্যচের চিত্রপট। ৮১ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে বল পেয়ে গোল করে স্পেনকে এগিয়ে দেন ১৯ বছর বয়সী লেফট উইঙ্গার সালমা পারাউয়েলো। ১-০ গোলে এগিয়ে গিয়ে রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে স্পেন। বাকী ম্যাচের শেষ কয়েকটা মিনিট গোল হজম ছনা করে পার করে দেয়াই লক্ষ্য ছিল তাদের।
কিন্তু ৮৮ মিনিটে স্পেনের গোলবারের জাল কাঁপিয়ে দেন স্ট্রাইকার রেবেকা ব্লমকভিষ্ট। লিনা হার্টিগের পাস থেকে ডান পায়ের শটে গোল করেন রেবেকা। ম্যাচে ১-১ সমতা পায় সুইডেন। অবশ্য এই সমতা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
৮৯ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে আক্রমনের রচনা করে আবারও গোল আদায় করে স্পেন। তেরেসা আবেলেরার কর্ণার থেকে বাঁ-পায়ের শটে গোল করেন অধিনায়ক ওলগা কারমোনা। ২-১ গোলে লিড নেয় স্পেন।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হবার পর ইনজুরি সময়ে সাত মিনিট যোগ হয়। এসময় আর কোন পক্ষই গোল করতে পারেনি। এতে অবিস্মনীয় জয়ে ইতিহাস গড়ে মাঠ ছাড়ে স্পেন।
এর আগে ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ^কাপ খেলেছে স্পেন। প্রথমবার গ্রুপ পর্ব থেকে এবং পরেরবার শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় তারা।
অন্য দিকে এবারও সেমিতে হেরে ফাইনালে উঠার স্বপ্ন ভঙ্গ হলো সুইডেনের। এই নিয়ে চতুর্থবার সেমি থেকে বিদায় নিলো তারা। এর আগে ১৯৯১, ২০১১ ও ২০১৯ সালে শেষ চার থেকে বিদায় নিয়েছিলো সুইডেন। ২০০৩ সালে ফাইনাল খেললেও, রানার্স আপ হয়েছিলো সুইডিশরা।
আগামী ২০ আগস্ট টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনালে স্পেনের প্রতিপক্ষ হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার বিজয়ী দল।
সূত্র :বাসস