• মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সংস্কার নিয়ে কারও চিন্তা করার দরকার নেই, সংস্কার আমরা করবো বাতিল হলো বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান আইন মেডিকেলে ভর্তিতে ‘অটোমেশন’ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেকের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার সাক্ষাৎ ‘চিত্রকর্মগুলো তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ’ জেনেভায় আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, মিশনের শ্রম কাউন্সেলরকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ মা নেই, কারাগারে বাবা : শিশুদের দেখভাল করতে হাইকোর্টের নির্দেশ সংস্কারের গতি ঠিক করবে নির্বাচন কত দ্রুত হবে : এএফপিকে প্রধান উপদেষ্টা সাগর-রুনি হত্যার ৩২০১ পৃষ্ঠার নথি পেয়েছে পিবিআই সম্প্রীতি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত: সেনাপ্রধান

চট্টগ্রামে সাড়ে ১৩ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা

24live@21
আপডেটঃ : বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

আগামী ১২ ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে চট্টগ্রাম নগরী ও ১৫ উপজেলায় প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে নগরীতে প্রায় ৫ লাখ ৪১ হাজার ও ১৫ উপজেলায় ৮ লাখ ২৭ হাজার ৬২৫ শিশু থাকবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।

আজ ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ের এডভোকেসি ও পরিকল্পনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী এ তথ্য জানান। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় পুষ্টি সেবার বাস্তবায়নে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এ এডভোকেসি সভার আয়োজন করে।

সভায় জানানো হয়, জেলার ১৫ উপজেলার ২ শ’ ইউনিয়নের ৬ শ’ ওয়ার্ডের ১৭ টি স্থায়ী, ১৫ টি ভ্রাম্যমাণ ও ৪ হাজার ৮ শ’ অস্থায়ীসহ মোট ৪ হাজার ৮৩২ কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৯৬ হাজার ৭৯০ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আইইউ) ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৩০ হাজার ৮৩৫ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আইইউ) খাওয়ানো হবে।

সভায় আরো বলা হয়, চলতি সালের ১৮ জুন জেলা পর্যায়ে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী মোট ৯৪ হাজার ৮৮ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লক্ষ আইইউ) খাওয়ানো হয়, যার অর্জিত হার ছিল ৯৯ শতাংশ ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী মোট ৭ লাখ ২৬ হাজার ৩৮৭ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লক্ষ আইইউ) খাওয়ানো হয়, যার অর্জিত হার ছিল ৯৯ শতাংশ।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়–য়ার সঞ্চালনায় সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, জেলা পুলিশের পরিদর্শক ফরিদা ইয়াসমিন, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মো. নওশাদ খান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর সালমা আক্তার, লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হানিফ প্রমুখ।

জেলার ১৫ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও মেডিকেল অফিসারসহ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গণমাধ্যম, সরকারি-বেসরকারী পর্যায়ের কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, জেলার বাইরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে প্রায় ৫ লাখ ৪১ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য এ ক্যাম্পেইন সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। আগামী ১২ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলাগুলোতে ৫০ জন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ১৬০ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ৪৮৫ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ৭২০ জন পরিবার পরিকল্পনা সহকারী, ১৯৬ জন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, ৯ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক, ১৪ জন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, ৫৩২ জন সিএইচসিপি ও ৮৫ জন স্যাকমো জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে নিয়োজিত থাকবে। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।

তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন নিয়ে গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। উৎসবমুখর পরিবেশে এ ক্যাম্পেইন সফল করা হবে। এ কর্মসূচি সফল করতে সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশু যাতে ঐদিন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাসসুল পায় সে লক্ষ্যে প্রত্যেক উপজেলা সদর, প্রত্যেক ইউনিয়নের মসজিদে নামাজের সময়, জুমার খুৎবায়, ইপিআই কেন্দ্র ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ সর্বত্র মাইকিং করে জনগণকে জানান হবে।
ভ্রমণে থাকাকালীন ও রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল, ফেরি ঘাট ও লঞ্চ ঘাটে অবস্থিত টিকা কেন্দ্রসহ যে কোন টিকাদান কেন্দ্র থেকে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে সরকারি প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি, আনসার-ভিডিপি ও এনজিও সংস্থাগুলো কাজ করবে। সরকারি কর্মকর্তা, মাঠকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী শিশুদেরকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে।

সিভিল সার্জন বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সকল ধরণের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। ভরা পেটে এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। তবে কোন অসুস্থ বাচ্চাকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।

সূত্র :বাসস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ